X

কিছু মানুষ ঘুমের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন কেন?

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, সোমবার

আমরা কি প্রত্যেকে জানি কেন কিছু মানুষ ঘুমের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন? হঠাৎ ঘুমে মৃত্যুবরণ করার সঠিক কোনো কারণ আছে কি? হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। অবাক হওয়ার বিষয় এটাই যে, প্রতি আটজনের মধ্যে প্রায় একজন ঘুমে মৃত্যুবরণ করেন।

ছবি: প্রতীকী

বিজ্ঞানীদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে ঘুমে মৃত্যু হওয়ার। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হলো-

Sudden arrhythmic death syndrome or SADS
ঘুমের মধ্যে মানুষের অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের ফলে হৃদপিণ্ড সঠিকভাবে রক্তসঞ্চালন করতে পারে না, যার ফলে যে কেউ কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে। এটি বলা বাহুল্য যে, SADS অল্প বয়স্ক ও স্বাস্থ্যবান কাউকেই মৃত্যু হতে ছাড় দেয় না। এছাড়াও ভেন্ট্রকুলার ফাইব্রিলেশনের ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্রেন ডেথ হতে পারে।

স্লিপ এপনিয়া
ঘুমের মাঝে শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো একটি জটিল সমস্যা হল স্লিপ এপনিয়া। এর ফলে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে তা ১০ সেকেন্ড থেকে কিছু মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। স্লিপ এপনিয়া চলাকালীন সময় যদি মস্তিষ্কের শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণকারী অংশ (রেস্পিরেটরি সেন্টার) থেকে নির্দেশ না আসে, তাহলে এটিকে আমরা সেন্ট্রাল স্লিপ এপনিয়া বলা হয়। আর অপরদিকে যদি দেখা যায়, মস্তিষ্ক হতে নির্দেশ আসছে কিন্তু শ্বাসনালীর প্রবেশ পথে কোন বাধা আছে, তখন একে অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ এপনিয়া বলে। যখন সেন্ট্রাল স্লিপ এপনিয়া এবং অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ এপনিয়া একত্রে হয়ে থাকে, তখন ঘুমের মাঝে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমাদের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে মৃত্যু হয়।

স্ট্রোক
ঘুমের মধ্যে অনেক সময় হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা দেখা যায়। ফলে আমাদের শরীরে আচমকাই রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় এবং অক্সিজেন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে যার ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এভাবেই একটি মানুষ ঘুমের মধ্যে হঠাৎ স্ট্রোকের ফলে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি সাতজনে একজন স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন।

কার কখন মৃত্যু হবে কেউ জানে না। যার জন্ম আছে, তাকে যে একদিন না একদিন মরতেই হবে তা নিয়ে বিতর্কের কোন অবকাশ নেই। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষেরই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তাই এই বিষয়ে চিন্তিত না হয়ে সকলকে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

Platform:
Related Post