X

একুশে পদকে ভূষিত হলেন গাইনি বিশেষজ্ঞ ও উদ্ভাবক প্রফেসর ডা. সায়েবা আখতার

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রাক্কালে ২০ ব্যক্তি এবং এক প্রতিষ্ঠানের মাঝে ‘একুশে পদক-২০২০’ হস্তান্তর করেছেন। তিনি আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসরকারী সম্মাননা ‘একুশে পদক’ এ বছরের বিজয়ী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিতরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একুশে পদকপ্রাপ্তগণ

চিকিৎসা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার। প্রসূতি মায়ের জীবন রক্ষায় ডা. সায়েবা আখতার উদ্ভাবন করেছেন সায়েবা’স মেথড। চিকিৎসা, নারীস্বাস্থ্য ও নারীশিক্ষায় রয়েছে তার বিশিষ্ট অবদান। ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক এবং “অব্সটেট্রিক এন্ড গাইনোকলজি” বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন ডা. সায়েবা আক্তার। অবসর গ্রহণের পর রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ‘মামস ইনস্টিটিউট অব ফিস্টুলা অ্যান্ড ওমেনস হেলথ’ গড়ে তোলেন তিনি, যা ২০ শয্যার একটি দাতব্য হাসপাতাল। নারী শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বল্প আয়ের পরিবারের মেয়েদের কর্মমুখী শিক্ষা দেবার জন্য ঢাকা ও গাইবান্ধায় বর্তমানে দুটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তিনি।
পুরষ্কার গ্রহণ করছেন অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন আরো একজন চিকিৎসক, তৎকালীন বাচ্চু ডাক্তার হিসেবে খ্যাত মরহুম ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩ তোলা ওজনের ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরী একটি স্বর্ণপদক, পুরস্কারের অর্থের চেক এবং একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়। পদক বিজয়ীরা নিজ নিজ এবং মরণোত্তর পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাঁদের পুত্র ও কন্যাগণ প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে পদক গ্রহণ করেন।

বায়ান্ন’র একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের মহান আত্মত্যাগ স্মরণে সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, বিচারপতিবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, সরকারের উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক সহ বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ, অতীতে একুশে পদক বিজয়ীগণ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও সংস্থার প্রধান এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক/সামিউন ফাতীহা

Platform:
Related Post