X

একাত্তরে শহীদ চিকিৎসক শামসুদ্দিন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা

স্মরণ করছি শহীদ ডা: শামসুদ্দিন আহমদ কে এবং সিওমেকের সকল ছাত্রছাত্রীর পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র সালাম। ৯ই এপ্রিল। ১৯৭১ সাল। আকাশে হিংস্র শকুনের চাইতেও পাক হানাদার বাহিনীর আনাগোনা । হাসপাতালের পূর্বপাশে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ। পাক বাহিনীর ক্যাম্প। উত্তর পাশে টিলার উপর সিভিল সার্জনের বাংলো আর টিলার নিচে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা। সকাল ৯টায় মুক্তিবাহিনী সেই বাংলো ও মাদ্রাসা থেকে আক্রমণ চালায় পাকিস্তানি বাহিনীর একটি কনভয়ের উপর। মারা যায় তিন পাক সেনা। বেপরোয়া পাক বাহিনী তখন পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। তন্ন তন্ন করে খুঁজতে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের। ডা. শামসুদ্দিন তখন অপারেশন থিয়েটারে বসে আছেন। রক্তের অভাবে অপারেশন করা যাচ্ছেনা আহত মানুষগুলোর। নিজের অসহায়ত্ব তাঁকে যেন মৃত্যুর চেয়েও বেশি পীড়া দিচ্ছে। হঠাৎ করেই মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয় মেজর রিয়াজসহ সশস্ত্র কয়েকজন পাক সেনা। মুক্তিযোদ্ধাদের না পেয়ে ডা. শামসুদ্দিন সহ পাঁচজনকে লাইন করে দাঁড় করানো হলো। জীবন- মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নিজের ব্যক্তিত্বে তখনো অনড় ডা. শামসুদ্দিন। নিজের জীবন ভিক্ষা চাননি। চেয়েছিলেন অপারেশন থিয়েটারে রেখে আসা মুমূর্ষ রোগীগুলোর অপারেশন শেষ করে আসতে। কিন্তু বর্বর পাকিস্তানি সেনারা প্রথম গুলি তাকেই করে। প্রথম গুলিটি লেগেছিল তাঁর বাম উরুতে। দ্বিতীয়টি পেটের বাম পাশে। তিনি তখনও দাঁড়িয়ে। একচোখ বিস্ময় নিয়ে দেখছিলেন কর্তব্যরত ডাক্তার কারো শত্রু হয় কিভাবে। তৃতীয় গুলিটি লাগে তাঁর বুকের বাম পাশে, হৃৎপিণ্ডে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ডা. শামসুদ্দিন। এরপর একে একে হত্যা করা হয় ডা. শ্যামল কান্তি লালা, ডা. জিয়াউর রহমান, পুরুষ নার্স মাহমুদুর রহমান, এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার কোরবান আলীকে। শোনা যায় কিছু আদিম উল্লাস। তারপর শুধুই নিরবতা……………। S

haheedShamsuddinAhmed সংগ্রহেঃ সাদমান সাকিব দীপ্ত

ডক্টরস ডেস্ক: bddoctorsplatform@gmail.com
Related Post