X

আমরা হয়তো জানি, জানে না জনৈক এসএসসি’র ঐ প্রশ্নকারী

লেখক ঃ রাফিউজ্জামান সিফাত। লেখক, সাংবাদিক।

 

 
আমি নিশ্চিতভাবে জানিম আমাদের প্রত্যেকের মোবাইলে একটি নাম অবশ্যই এভাবে সেইভ করাঃ DR. ( কাঙ্ক্ষিত নাম )
এবং এই নাম্বারগুলোতে সচারাচর আমরা ফোন দেই না। ঈদে কিংবা জন্মদিনে এই নাম্বারে আমরা উইশ করি না, পাঠাই না মেসেজ। তাদের আমরা স্মরণ করি কেবল এবং কেবল মাত্র নিজের প্রয়োজনে, যখন তীব্র ব্যথায় আর আতংকে আমরা দিশেহারা ঠিক তখন। এবং অদ্ভুত হলেও সত্য, দিনে দুপুরে গভীর রাতে অদ্ভুত অদ্ভুত সময়ে কল ফোন দেয়া হলেও এই নাম্বারের মালিক কখনো বিরক্ত হোন না, প্রতিবার তিনি ফোনের ওপাশ থেকে শান্ত কণ্ঠে আমাদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে আমাদের যন্ত্রনা আতংক নিরাময় করে চলেন।

‘জাহেদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার’ প্রশ্নটা এমনও হতে পারতো,
‘জাহেদ সাহেব একজন লোভী ইঞ্জিনিয়ার’
‘জাহেদ সাহেব একজন লোভী পুলিশ অফিসার’
‘জাহেদ সাহেব একজন লোভী মন্ত্রী’
‘জাহেদ সাহেব একজন লোভী আমলা’

এমন প্রতিটি পেশায় এমন প্রশ্ন হতে পারতো। এবং তা হতো ভুল।

লোভ ব্যাক্তি বিশেষের ব্যাপার। কোন পেশা কখনো লোভী হয় না। যেমন কোন পেশা কখনো ছোট হয় না। প্রতিটি আইনসম্মত পেশাই গুরুত্বপুর্ন। কারণ এই পেশাই তাকে দুনিয়ায় টিকিয়ে রেখেছে, তাকে আর তার পরিবারকে অন্ন যোগাচ্ছে।

জাহেদ সাহেবকে আমি চিনি না, তিনি লোভী হলে কেবল ডাক্তারি নয়, ক্রিকেট খেলাতেও লোভী হয়ে অর্থ আত্মসাৎ করতে পারতেন। আজ জাহেদ সাহেব ম্যাডিকেলে না পড়ে যদি বিকেএসপিতে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ নিয়ে সেরা ক্রিকেটার হতো, তবুও তিনি লোভী ই থাকতেন। এখানে ব্যাক্তি জাহেদ লোভী। ডাক্তার জাহেদ নয়।

, মাঝে মধ্যে এই পেশায় জড়িত স্পেসিফিক কিছু মানুষ কিংবা প্রতিষ্ঠানের নামে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়, লাশ আটকে রাখা, বিনা কারণে স্পেসিফিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে একের পর এক টেস্ট করিয়ে কমিশন নেয়াসহ এমন মারাত্মক কিছু অভিযোগ আছে। অভিযোগগুলো উক্ত অসৎ প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাক্তির। স্পেসিফিকেলি সেই ব্যাক্তিদের। সমগ্র ডাক্তারী পেশার নয়। কখনো নয়। কাল যদি জাহেদ সাহেবের ছেলে স্কুলে না যায় তবে জাহেদ সাহেবের ছেলের আটেন্ডেন্স কাটা যাবে, সমগ্র স্কুলের ছাত্রদের আটেন্ডেন্স কাটা পড়বে না। সিম্পল ইজ দ্যাট।

আপনি কি জানেন, বাংলাদেশী ডাক্তার ড শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর, ডাঃ মামুন আল মাহতাব ‘নাসভ্যাক’ নামের এক ওষুধ আবিষ্কার করেছেন যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম!

আমরা হয়তো জানি, জানে না জনৈক বেক্কল এসএসসি’র ঐ প্রশ্নকারী।

 

Ishrat Jahan Mouri: Institution : University dental college Working as feature writer bdnews24.com Memeber at DOridro charity foundation
Related Post