X

অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ স্যারের ৬ষ্ঠ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

“একে তো বাংলাদেশী বই, তার উপর বইয়ের উপর বাঙ্গালী নাম(লেখকের), দাদা আপনার বই কি কেউ পড়বে”?
অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ তাঁর “Practical Manual in Clinical Medicine” এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করছিলেন কিভাবে বইগুলো আন্তর্জাতিক প্রকাশণায় স্থান করে নেয়। বাংলাদেশী মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের মাঝে তাঁর বইগুলো ব্যাপকভাবে সমাদৃত হবার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তখন চাহিদা বাড়ছিল। জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ নুরুল ইসলাম স্যারের অনুপ্রেরণায় অধ্যাপক আব্দুল্লাহ তাঁর প্রকাশিত বই নিয়ে দিল্লী গিয়েছিলেন একটি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থায় প্রকাশের জন্য। প্রকাশণা কোম্পানীর বাঙ্গালী ম্যানেজার কিছুটা নেতিবাচক ভাবেই অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। এরপরেও অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ এদেশের চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের আরো ভালো চিকিৎসক করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা থেমে থাকে নি। ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অধ্যাপক আব্দুল্লাহর বইগুলোর চাহিদা থাকায় আন্তর্জাতিক সে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কয়েকবছর পর ঢাকায় এসে অধ্যাপক আবদুল্লাহ স্যারের সাথে দেখা করেন, এক এক করে সর্বশেষ ৬ষ্ঠ বইটি বাজারে আসে আন্তর্জাতিক প্রকাশনীর মাধ্যমে।

গত ২১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো “Practical Manual in Clinical Medicine” এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ ফেরদৌস উর রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটিতে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ এর মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল জলিল, অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ আতিকুল হক, প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান, বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসিত্রয় অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডাঃ জাকারিয়া স্বপন, কোষাধক্ষ্য ডাঃ মোঃ আলী আসগর মোড়ল, অনুষ্ঠানের সভাপতি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুর রহিম। বক্তারা প্রত্যেকে অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহকে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক প্রয়োজনের পাশপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বৃদ্ধিতে স্যারের ভূমিকার প্রশংসা করেন। প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ স্যারকে অভিনন্দন।
(অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ স্যারের সাথে ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন রোকন, ডাঃ সাদিয়া সাবাহ)

অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহর বক্তব্যে বইগুলো প্রকাশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরার পাশাপাশি শ্রদ্ধাভরে তিনি তাঁর শিক্ষক, সহকর্মীদের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন যতদিন তাঁর বইগুলো চিকিৎসকদের উপকারে আসবে, যতদিন এ বইগুলো পাঠ করে বাংলাদেশী চিকিৎসকদের মাধ্যমে দেশের মানুষ সেবা পাবে ততদিন তাঁর বইগুলো যাঁদের নামে উৎসর্গকৃত তাঁদের কথা পাঠক চিকিৎসকেরা মনে রাখবেন। “Practical Manual in Clinical Medicine” বইটি তিনি তাঁর সহকর্মী হেপাটোলজির প্রয়াত অধ্যাপক একে এম খোরশেদ আলম কে উৎসর্গ করেন। “Case History and Data Interpretation in Medical Practice” বইটি উৎসর্গ করেন তাঁর শিক্ষক প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক নুরুল ইসলামকে, “Radiology in Medical Practice” বইটি উৎসর্গ করেন সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশের পেডিয়াট্রিক্সের প্রবর্তক জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ এম আর খানকে।

“Practical Manual in Clinical Medicine” বইটি আগামী ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস তাদের বিশেষ এক প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশের দশ হাজার চিকিৎসকের কাছে বিনামূল্যে বইটি পৌঁছে দেয়া শুরু করেছে।

ডাঃ মোহিব নীরব
প্ল্যাটফর্ম,
চিকিৎসকদের পক্ষে।

ডক্টরস ডেস্ক: bddoctorsplatform@gmail.com

View Comments (18)

  • Feeling proud! এভাবেই আমরা আশাবাদী হব।

  • স্রোতের বিপরীতে একজন প্রফেসর। অভিনন্দন স্যার কে।

    • ২০১৭ তে মার্কেটে, বেক্সিমকোর এম আরদের কাছে খোঁজ দিয়ে রাখতে পারেন

    • সুযোগ পেয়েছি বলে লিখছি, সামনাসামনি রেজিস্টার থেকে শুরু করে সহকারী অধ্যাপক এবং এর উপর যে কাউকে স্যার সম্বোধন করতে পারেন। পাশ করার আগে সিএ, আইএমও, লেকচারার সবাই স্যার।

      পাশ করার পর, যাঁদের আগে কখনো স্যার বলেছেন, বা স্যার বলে চিনতেন সবাইকে স্যার ডাকা যায়, সহকর্মী হলেও তখনো স্যার।

      আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপরিচিত সবাইকে আপনি বলা যায়, সে বয়সে ছোট হলেও।

    • এটা কিন্তু একজন প্রথম শ্রেণির অফিসার এর প্রটোকল। "আপনি বলতে শিখুন"
      প্রয়োগ যদিও কমে গেছে। কিন্তু it's a matter of dignity

  • অগ্রজ প্রতিম আবদুল্লাহ ভাই, অভিনন্দন। চালিয়ে যান।

Related Post