X

RT-PCR পরীক্ষা এখন কতটা উপযোগী?

২২ জুন ২০২০, সোমবার

ডা. সেলিম শাহেদ

আসলে RT-PCR নামক পরীক্ষাটি আর দরকার আছে কিনা, সেটা ভেবে দেখা উচিৎ। দায়িত্বশীল লোকজনের মুখে শুনেছি, এ পরীক্ষাটি বেশ খরুচে পরীক্ষা। বেশ কয়েক হাজার টাকা খরচ হয় পরীক্ষাটিতে।

বাংলাদেশের সতেরো কোটি লোকের এক কোটি লোককেও যদি এ পরীক্ষাটি করতে হয়, তাহলে এজন্য কয়েক হাজার কোটি টাকা লাগার কথা।
যেহেতু এই মুহূর্তে বাংলাদেশের এমন কোনো জেলা, উপজেলা, থানা কিংবা গ্রাম বাকী নেই যে করোনা সংক্রমন হয়নি, তাই এই অভিজাত পরীক্ষাটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে হোয়াইট এলিফেন্ট বা শ্বেত হস্তী ছাড়া আর কিছুই না।

শুধু শ্বেতহস্তী বললে ভুল হবে, এটি হচ্ছে একটি অলস শ্বেত হস্তী। এমন হাজার টাকার পরীক্ষাটি ভোক্তার হাতে পৌঁছতে সময় লাগে ৬/৭ দিন। এরই মধ্যে ভোক্তা তথা হবু করোনা রোগী মুড়ি মিক্স করে ফেলেন, অর্থাৎ দিনে দু’জন করে হলেও সপ্তাহে চৌদ্দজন সুস্থ মানুষকে ইনফেক্ট করে ফেলেন।

এই পরীক্ষাটি কোভিড রোগ সংক্রমণের অর্থাৎ  কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের এমন এক পর্যায়ে আছে যে, এতে শুধু টাকার অপচয় বাড়বে।

‘টেস্ট টেস্ট এবং টেস্ট’ এর যে তত্ত্ব সেটা আমাদের ভৌত পরিকাঠামো সাথে যায় না। হাত থেকে বালু পড়ে গেলে এর কণাগুলোকে আর হাতে উঠানো সম্ভব না।
চীনে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী ছিলাম। কাজের কাজ একটা হয়েছে। উনারা আমাদের নিয়ে দারুন ভাবে হতাশ হয়েছেন।

এই একশো পাঁচদিনে করোনা নিজেই সার্বিক ভাবে বাংলাদেশকে যে ‘ইনসাইট’ কিংবা যে প্রেক্ষাপট গিফট করলো, সেটাকেই পুঁজি করে সামনের দিনের কর্ম পরিকল্পনা বাংলাদেশকে সাজাতে হবে।
আমরা হয়তো অনেকেই পিঠ বাঁচানোর জন্য কিছুই বলিনি, আবার বলার গ্রাভিটি কম বলে অনেকেই শোনেন নি!

তাতে কী?
চীজ চাইনিজরা তো বলেছে?
আমরা নাকি অন্ধকারে ঢিল মেরেছি?
চীজ, চাইনিজ আপ্নাদের বোঝা উচিৎ, আমরা বাদুড়ের মতো অন্ধকারেই ভালো দেখি! না দেখলে একশো দিন পড়েও আমাদের মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ এর ঘরে!

Sarif Sahriar:
Related Post