X

রংপুর মেডিকেলে নার্স কর্তৃক লাঞ্ছিত হলেন ইন্টার্ন চিকিৎসক

২৬ নভেম্বর ২০১৯

গতকাল ২৫/১১/১৯ তারিখ সন্ধ্যা ৬.৩০ এ রংপুর মেডিকেল ডেন্টাল ইউনিটে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে নার্স কর্তৃক লাঞ্ছিত হন উক্ত মেডিকেলের ডেন্টাল ইউনিটের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আফরিন অনন্যা ও তার সহকর্মী আরেক ইন্টার্ন নারী চিকিৎসক।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা.সাবরিনার ফেসবুক স্ট্যাটাস হতে জানা যায়, সেদিন সন্ধ্যায় ওয়ার্ডে অবস্থানকালীন এক রোগীকে ফলো আপ দেয়ার সময় একজন নার্স রোগীকে ইঞ্জেকশন দিচ্ছিলেন, যার হাতে থাকা ইঞ্জেকশন থেকে মেডিসিন উক্ত চিকিৎসকের চোখে এবং গায়ে ছিটে আসায় তিনি নার্সকে সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উক্ত নার্স চিকিৎসককে গালি গালাজ করতে থাকেন এবং চিকিৎসককে তার কাছ থেকে আচরণ শেখার কথা বলা সহ বিভিন্ন উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। ঘটনার এক পর্যায়ে উক্ত নার্স দায়িত্বরত চিকিৎসকের এপ্রনের কলার ধরতে আসলে নিজের আত্মরক্ষার খাতিরে নার্সের দুই হাত ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন ডা. সাবরিনা। ঘটনার ১০ মিনিটের মাথায় নার্সদের সব নেতাকর্মী এসে সেই দুজন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আরও হুমকি দেন এবং গালাগালি করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে উক্ত বিভাগের রেজিস্ট্রারকে কল করলে উনি আসেন এবং তাকেও অনেক অপমান করা হয়। ঘটনা শান্ত করার জন্য পরবর্তীতে দায়িত্বরত সহপরিচালককে বলা হলে উনি এবং দুই জন সহকারী অধ্যাপক, ডেন্টাল ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান, নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট এর উপস্থিতিতে সমঝোতার মাধ্যমে সাময়িক সময়ের জন্য পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।

পরের দিন অর্থাৎ আজ ২৬/১১/১৯ তারিখ সকাল ৮.২৪ মিনিটে লিমন নামক এক ব্রাদার ডা. সাবরিনাকে ফোন দিয়ে তিনি কোথায় আছেন এবং ওয়ার্ডে কখন আসবেন জিজ্ঞেসাবাদ করেন। তারপর ডা. সাবরিনা এবং তার সাথে থাকা আরেকজন নারী চিকিৎসক যখন হোস্টেল থেকে ওয়ার্ড এর উদ্দেশ্যে রওনা হন, তখন রংপুর মেডিকেল কলেজেরই একজন ব্রাদার ফুরকান তাদের পিছু নেন। তারা ওয়ার্ডে প্রবেশ করার সাথে সাথে প্রায় ২০০ জন নার্স ব্রাদার এসে ডা. সাবরিনা এবং তার সহকর্মী নারী চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলেন এবং আহত করেন। সেই সাথে একই ডিপার্টমেন্ট এর একজন সহকারী অধ্যাপক এবং এক নারী চিকিৎসকের গায়েও হাত তোলা হয়। এ সময় তারা চিকিৎসকদের রুমের ডেস্কে থাকা সব কিছু ফেলে তছনছ করে ফেলেন বলে জানান ডা. সাবরিনা। ঘটনা ক্রমশ খারাপের দিকে এগিয়ে গেলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এবং যথাযথ বিচারের দাবিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল ইউনিট এর ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ এবং চিকিৎসকগণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

স্টাফ রিপোর্টার/ হৃদিতা রোশনী

Platform:
Related Post