X

এমপিএইচ নিপসমঃ ভর্তি প্রস্তুতি। পর্ব ১

এমপিএইচ কেন করবেন এই প্রশ্নের উত্তর যারা জানেন কিন্তু কীভাবে প্রস্তুতি নিবেন জানতে চান তাদের জন্য এ পোস্ট। এমপিএইচ কেন করবেন সেটা নিয়ে পুর্বের এই পোস্ট দেখুন।

প্রশ্ন মূলত পাবলিক হেলথ/ কমিউনিটি মেডিসিন থেকেই হয়। কিছু ইংরেজি থাকে। ১০ মার্কের মত। মোট ১০০ মার্কের এমসিকিউ টাইপ প্রশ্ন। মার্চ এপ্রিলে পরীক্ষা হয় সাধারণত। ফেব্রুয়ারিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করতে হয় সাধারণত।

NIPSOM এ MPH ভর্তি পরীক্ষা দিতে কী পড়বেন?

১) ম্যাট্রিক্স এমপিএইচ এডমিশান গাইড
২) ফ্রেনিক এমপিএইচ এডমিশান গাইড

ক) আগে ম্যাট্রিক্স থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখে নিবেন। এটা থেকে আপনি আইডিয়া নিতে পারবেন আসলে কী টাইপ প্রশ্ন হয়।
খ) এরপর ফ্রেনিক শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলবেন। ইংরেজির প্রস্তুতি নিয়ে লাভ কম হয়। এই ফ্রেনিক পড়ার সময় যা যা সমস্যা মনে হবে নোট করে রাখবেন।
গ) ম্যাট্রিক্সের ভেতরের পার্ট আসলে থার্ড ইয়ারের কমিউনিটি মেডিসিন গাইড, নতুন বোতলে পুরান জিনিস। ফ্রেনিক পড়ার সময় যা যা সমস্যা লিখে রেখেছিলেন সেটা ম্যাট্রিক্স থেকে দেখে নিবেন। এখানে বিস্তারিত আছে।
ঘ) হাতে সময় থাকলে পুরা ম্যাট্রিক পড়ে ফেলবেন। এই বইটা ম্যাট্রিক্সই হতে হবে এমন না, যে কোন কমিউনিটি মেডিসিন গাইড হলেই হয়। তবে ম্যাট্রিক্সের শুরুতে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো আছে।
(এই পরামর্শ আমার মত ফাঁকিবাজদের জন্য প্রযোজ্য। কেউ অনেক পড়ায় অভ্যস্ত থাকলে পার্কের বইটা দেখে আসতে পারেন।)
……
NIPSOM এর MPH কত দিনের?
-দেড় বছর (রেজাল্ট বেরুতে মোট ২০ মাসের মত লেগে যায়)
……

NIPSOM এ MPH এ কত খরচ?
-ভর্তি ১৩০০০, তিন সেমিস্টারে সেমিস্টার ফিস ১৩০০০ করে, সব মিলে মোট ৫৫০০০ টাকা দেড় বছরে নিপসমকে দিতে হবে, যদি কোন পরীক্ষায় রিটেক (সাপ্লিকে বিএসএমএমইউ রিটেক বলে) না খান।
……

NIPSOM পড়ার সুবিধা কী?

ফুলটাইম কোর্স, না শিখে খালি ডিগ্রি নিয়ে বের হওয়া কঠিন। সরকারি চাকুরি করলে বা বেসরকারি মেডিকেলে কমিউনিটি মেডিসিনের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং এর উপরে প্রোমোশান পেতে বিএমডিসি স্বীকৃত ডিগ্রি।
……

NIPSOM এ পড়ার অসুবিধা কী?

-ফুল টাইম কোর্স। সপ্তাহে পাঁচদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ক্লাস। মাঝখানে আধাঘন্টা টি-ব্রেক আর এক ঘন্টা লাঞ্চ ব্রেক আছে। এতক্ষণ ক্লাস করা আসলেই কষ্টের। ফুল টাইম হওয়ায় কেবল শুক্রবার শনিবার ছাড়া অন্যদিন নাইট বাদে দিনে কোন ডিউটি বা কাজ করতে পারবেন না। এটেন্ডেন্স ৭৫% না থাকলে পরীক্ষায় বসতে দেয় না, মাঝেমাঝে এটার কারণে ইয়ার লস যায় অনেকের।

-প্রতি মাস শেষেই পরীক্ষা, এবং সেটা সেমিস্টার পরীক্ষা। একেবারে প্রফের মত। একটা সেমিস্টারকে চার ক্লাস্টারে ভাগ করে ছয় মাসের সেমিস্টারে মোট চারবার পরীক্ষা। (এইটা নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। আমি বুঝাইতে পারবো না। শুধু জেনে রাখেন ব্যাপারটা পেইনফুল) সেখানে রিটেন, প্রাক্টিকাল, ভাইভা, এসাইনমেন্ট সব আছে।

……

কিছু কমন প্রশ্ন
১) প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএইচ করে বেসরকারি বা সরকারি মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিনের সহকারি অধ্যাপক হওয়া যাবে কি?

উত্তর হল না। কেবল মাত্র বিএমডিসি স্বীকৃত মাস্টার্স দিয়েই সহকারি অধ্যাপক হওয়া যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্রাজুয়েশন বিএমডিসি স্বীকৃত না।

২) এমপিএইচ করেই কি প্রফেসর হওয়া যাবে?

উত্তর হল হ্যা আবার না। কেবল মাস্টার্স দিয়ে প্রফেসর হওয়া যেত আগে। এখন হয়তো যাবে না। যাবে না এমন নিয়ম না থাকলেও পিএইচডি, ন্যূনতম এমফিল ছাড়া এসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের উপরে যাওয়া কঠিন।

৩) অধ্যপনা ছাড়া চাকুরির খাত আর কী?

অনেক আছে। কিন্তু প্রতিযোগিতা সবখানেই।

বিএসএমএমইউ এর অধীনে এমপিএইচ করতে প্রস্তুতি শুরু করুন আগে আগেই।

ঘুরে আসতে পারেন নিপসমের ওয়েবসাইট আর বিএসএমএমইউ এর ওয়েবসাইট থেকে।

(যোবায়ের মোমিন, নিপসমে অধ্যায়নরত, ইমেইল jubamin@platform-med.org)

যোবায়ের মোমিন:

View Comments (40)

Related Post