X

MMC এর এনাটমি মিউজিমের নামকরণঃ “অধ্যাপক মনছুর খলীল যাদুঘর”

প্রয়াত এনাটমির কিংবদন্তী শিক্ষক প্রফেসর ‘ডাঃ মনছুর খলীল’ স্যারের স্মরণে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এনাটমি মিউজিয়ামের নামকরণ (অধ্যাপক মনছুর খলীল যাদুঘর) করা হয়।

প্ল্যাটফর্ম গ্রুপে মোস্তাফিজুর রহমান তপু এই প্রস্তাবনা রাখেন। পরবর্তীতে যুবায়ের আহমেদ MMC এর শিক্ষার্থীদের সাথে বিষয়টা আলোচনা করেন এবং তাদের ব্যাপক সাড়ায় কলেজ অথোরিটির কাছে প্রস্তাবনা রাখা হয়। কলেজ অথোরিটি প্রস্তাবটি গ্র্যান্ট করেন।

পরবর্তীতে মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক আকরাম স্যারের উদ্যোগে এবং সকলের সহযোগিতায় মিউজিয়ামের নামকরণ করা হয়।

বাংলাদেশে এনাটমি’র লিজেন্ড শ্রদ্ধেয় “প্রফেসর ডাঃ মনছুর খলীল” স্যার একজন অসাধারণ শিক্ষক ছিলেন। এত বড় প্রফেসর হওয়া সত্ত্বেও তাঁর জীবনযাপনের ধরণ ছিলো খুবই সাধারণ।

তিনি বাংলাদেশের ৭০ এর  দশকে  সেরা মেডিকেল স্টুডেন্ট ছিলেন। পরবর্তীতে জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটি থেকে এনাটমিতে পিএইচডি করেন এবং একই সাথে হিউম্যান ও ভেটেরেনারি এনাটমিতে পিএইচডি করেছিলেন। সবখানেই তাঁর রেজাল্ট ছিলো অসামান্য। প্রবাসী জীবন এবং উচ্চ পারিশ্রমিক তাঁকে কখনো টানেনি। তিনি নিজের বেতনের অর্ধেকটাই দান করে দিতেন এতিম খানায় । শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মত দেখতেন, শিক্ষার্থীরাও উনাকে বাবা বলে সম্বোধন করতো। শিক্ষার্থীরা কিভাবে আরো ভালভাবে জ্ঞানার্জন করতে পারবে তাই ছিলো তাঁর একমাত্র চিন্তার বিষয়।

হঠাৎ respiratory distress, chest tightness এর কারনে স্যার হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর Pulmonary Hypertension ডায়াগনসিস হয়। তিনি ২১ ডিসেম্বর, সোমবার হতে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের CCU তে এডমিট ছিলেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতির কারনে তাঁকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়। বাসায় ফেরত আসার পর, ২৪শে ডিসেম্বর’১৫, বিকেলের দিকে তিনি পরলোক গমন করেন।

 

তথ্য সংগ্রহ- যুবায়ের আহমেদ

Sairee:

View Comments (1)

Related Post