X

বিশ্ব আয়রন সচেতনতা সপ্তাহঃ ১৩-১৯ এপ্রিল

‘আয়রন সচেতনতা সপ্তাহ’  একটি বাৎসরিক প্রচার কার্যক্রম যা প্রতি বছর নিউজিল্যান্ডে (১৮-২৪ এপ্রিল)  পালন করা হয়। শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং মহিলাদের মধ্যে মারাত্মক আয়রন স্বল্পতা দেখা যায়, তাই এর প্রতি সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এই কার্যক্রম।

ক্যাম্পেইনে আয়রন স্বল্পতার কারণ, এর লক্ষনসমূহ এবং কিভাবে এই অভাব পূরণ করা যায়, তা আলোচনা করা হয়।

আয়রনের অভাবে খুব সহজে ক্লান্তিবোধ হয়, মেজাজ খিটখিটে হয় এবং বারবার রোগাক্রান্ত হবার প্রবনতা বেড়ে যায়।

আয়রনের অভাব বলতে  রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়াকে বোঝায়। আয়রনের অভাবে  অ্যানিমিয়া হয়। আমাদের দেশে বেশিরভাগ শিশুই রক্ত স্বল্পতায় ভোগে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়ার কারণে শিশুরা রক্তস্বল্পতায় ভোগে এবং শোষণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে বৃদ্ধরাও রক্তস্বল্পতায় ভোগেন। আয়রনের অভাবে শিশুদের মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটে।

যাদের রক্তস্বল্পতা আছে তাদের শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ হিমোগ্লোবিন থাকে না। শরীরে অক্সিজেন প্রবাহের জন্যে রক্তে পরিমাণমত হিমোগ্লোবিন থাকা আবশ্যক। হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে সারা শরীরে অক্সিজেন ছড়িয়ে দেয় এবং ক্ষতিকর কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে আনে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে ও রোগ প্রতিরোধে পরিমানমত আয়রন অত্যাবশ্যক।

মাংস,  সামুদ্রিক মাছ ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার থেকে আয়রনের চাহিদা মেটানো যায়।

আমাদের দেশেও স্বাস্থ্যবিষয়ক সংগঠনগুলোর উচিত বাৎসরিক আয়রন সচেতনতা ক্যাম্পেইন আয়োজন করা এবং নিজেদেরও এই বিষয়ে সচেতন হওয়া।

Sairee:
Related Post