X

অসহায় ভর্তি রোগীর পাশে চট্টগ্রাম মেডিকেলের ডাক্তাররা

‘ ডাক্তার’ – এই শ্রেণীর মানুষকে বর্তমানে একজন কসাই,চিকিৎসা ব্যবসায়ী কিংবা তিল থেকে তাল হলে আন্দোলন করা পাবলিক হিসেবে এ দেশের মানুষের কাছে খুব(!) পরিচিত। কিন্তু এই কসাই ডাক্তার কে যদি দেবদূত রূপে চাক্ষস দেখতে পায় কেউ?

আমরা কথা বলছি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের। ঘটনার শুরু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ওয়ার্ডে। সেখানে একজন মহিলা এডমিটেড এবং তিনি মেগালোব্লাস্টিক এনিমিয়ার রোগী। তার বালিশের পাশে এক টুকরো চিরকুট দেখতে পাওয়া যায়। তাতে লেখা –

” সিরাজ মিয়া আমি যদি মারা যাই, আমার লাশ উপরের নাম্বারে কল করেই পাঠায় দিবেন”

সন্ধ্যায় রাউন্ডে ইশতিয়াক ভাই কথা প্রসঙ্গে যখন বললেন, “কাগজটা দেখলে বুঝা যায় ঊনি কতটা অসহায়, তখন খুবই খারাপ লেগেছিল। তখন থেকে ভাবতেছি অাল্লাহর কাছে শুকরিয়া এটাই, অামি, অাপনি কতটুক ভাল অার নিরাপদে অাছি!!! ঊনার ১ টাকার ঔষুধ কেনার টাকা নাই। জিনিসপত্র এনে দেয়ারও কোন লোক নাই।”

 চিরকুট মহিলাটির অসহায়ত্বের স্বাক্ষী।তার কাছে ঔষধ কেনার টাকা তো নেই ই,প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এনে দেয়ার জন্য ও কেউ নেই।এই হাসপাতালের ডাক্তাররাই অসুস্থ এই মহিলার দেখাশোনার পাশাপাশি তার চিকিতসা ও অনুষঙ্গিক খরচ নিজেরা বহন করার দায়িত্ব নিয়েছেন। এমন শত-সহস্র অসহায় রোগীর পাশে দাঁড়ানো মহামানব ডাক্তারদের কীর্তি সবার অদেখা,অজানাই রয়ে যায়, কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকে হাসপাতালের প্রতিটি বেড,ওয়ার্ড, ইট,বালি, সিমেন্ট। হ্যা ভাই, এরাই তারা, যাদের অাপনারা কসাই হিসেবে চিনেন। অার নিজেদের ভাবেন মহামানব।

সুত্রঃ রাকিব আদনান চৌধুরী

লিখেছেনঃ সাবরিনা আব্বাস

Vivek Podder:

View Comments (2)

  • shudu cmc na
    Cmoshmc teo poor fund to asei pt er jonno seat vara medicine free.
    ta charao medicine ward a deklam
    poor shune amdr sir echo koraise bina khoroche erkm aro onk kisu...

Related Post