X

৪১তম বর্ষে পদার্পণ করলো মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের “মেডিসিন ক্লাব”

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

মেডিসিন ক্লাব- মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত সংগঠনটি গতকাল (৩১ জানুয়ারি) সাফল্যের সাথে ৪১তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।

১৯৮১ সালের ৩১ জানুয়ারি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরিতে একদল স্বপ্নবাজ তরুণের হাত ধরে গড়ে উঠা সংগঠনটি বর্তমানে সারাদেশের অসংখ্য মেডিকেল ও ডেন্টাল স্টুডেন্টের সমন্বয়ে ৩২টি ইউনিটের এক বিশাল পরিবার।

গতকাল বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী সকল ইউনিটগুলোতে মেডিসিন ক্লাবের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়। মেডিসিন ক্লাব, কেন্দ্রীয় পরিষদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উত্তরায় মেডিসিন ক্লাবের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও কেক কেটে দিনটি সাড়ম্বরে উদযাপন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে স্মৃতিচারণ করেন মেডিসিন ক্লাবের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ডা. খন্দকার রাহাত হোসেন, ডা. অনিমেষ বিশ্বাস অপু এবং ডা. তাপস কুমার দাশ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন ক্লাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফয়সাল মাহমুদ প্রমিজ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অংকন বনিক জয় সহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ইউনিটের অসংখ্য মেডিসিনিয়ান।

মেডিসিন ক্লাবের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে: থ্যালাসেমিয়া প্রজেক্ট, নিরাপদ রক্তসঞ্চালন কর্মসূচি, রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি, ভ্যাক্সিনেশন, স্কুল হেলথ, স্বাস্থ্য সচেতনতা, জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার সচেতনতা কর্মসূচি, শীতবস্ত্র ও ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি ইত্যাদি। এর পাশাপাশি “আর্তের সেবায় আমরা একটি পরিবার” স্লোগানকে ধারণ করা এই সংগঠনটি “একাডেমিক কাম সোশাল অর্গানাইজেশন” হওয়ায় মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্লিনিক্যাল ও প্রি ক্লিনিক্যাল ক্লাসও আয়োজন করা হয় মেডিসিন ক্লাবের ব্যানারে।

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়ে প্রথম স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম শুরু করে মেডিসিন ক্লাব। সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরে নিবন্ধিত মেডিসিন ক্লাব দুই দশকের বেশি থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্তের যোগান ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। সারা দেশে মেডিসিন ক্লাবের সবগুলো ইউনিটের অধীনে প্রায় ২ হাজার থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছে। রক্তের যোগানের পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ, স্প্লিনেকটোমি অপারেশন, হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস পরীক্ষারও ব্যবস্থা করে থাকে মেডিসিন ক্লাব। করোনা মহামারীতে মেডিসিন ক্লাব নানাভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রায় সাড়ে ৯ হাজার অসহায় পরিবারকে খাদ্য সরবরাহ করার পাশাপাশি রাজধানীতে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে কর্মরত ফ্রন্টলাইনার চিকিৎসকদের জন্য বিনামূল্যে বাস পরিসেবা চালু করেছিল মেডিসিন ক্লাব।

“Learn & let others learn to serve the humanity in the best possible manner.” এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে মানবতার সেবায় মেডিসিন ক্লাবের এই গৌরবময় পথচলা হয়ে উঠুক আরো রঙিন, প্রাণবন্ত এবং তারুণ্যের উচ্ছলতায় দৃপ্ত।

অংকন বনিক:
Related Post