X

ছদ্মবেশী ডাকাতদের হাতে নিহত হলেন ডা. শাহআলম

 

সীতাকুণ্ডের কুমিরার বাসিন্দা সৌদি আরবের মদিনা হাসপাতালের শিশু বিভাগের সাবেক প্রধান ডা.শাহ আলমকে নির্মমভাবে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে একটি নির্জন স্থানে লাশ ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। পরে সেখান থেকে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমদিকে তাকে অজ্ঞাত হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও পরে লাশটি শনাক্ত করেছে তার পরিবারবর্গ। পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডা.শাহ আলম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। গ্রামের শিশুদের সুচিকিৎসা ও সেবা দেয়ার জন্য সৌদি আরবের নামকরা একটি হাসপাতালের ৩০ বছরের চাকুরি ছেড়ে দেশে এসে তিনি গতবছর নিজ বাড়ির সামনেই গড়ে তুলেছিলেন ‘বেবি কেয়ার’ নামক ক্লিনিক। ইতিমধ্যে তার ক্লিনিক শিশু চিকিৎসায় যথেষ্ট সুনামও কুড়িয়েছে। কিন্তু ডা. শাহআলমের সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হলেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিরা বাইপাস সড়কে ঢাকামুখী লেনের পাশে গাছপালার ভেতরে এক ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পায় সেখানে খেলতে থাকা শিশুরা। পরে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানান।

খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ দুপুরে সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিরার বাইপাস সড়কের ওই এলাকাটি অত্যন্ত নির্জন। রাতের আঁধারে ওই এলাকা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ডাকাতদের একটি দল সেখানে আগেও বহু মানুষের অর্থ ও মূল্যবান সরঞ্জাম কেড়ে নিয়েছে।

তারা আরো বলেন, জায়গাটি নির্জন হওয়ায় অন্যত্র খুন করেও এখানে আগেও লাশ ফেলে গিয়েছিল অজ্ঞাত খুনিরা। হতে পারে ওই একই খুনি চক্র লোকটির সর্বস্ব কেড়ে নিতে চাইলে বাধা পেয়ে তাকে হত্যা করে ফেলে যায়। রাতের আঁধারে অর্থ ও মূল্যবান সরঞ্জাম বহন করে নিয়ে যাবার সময় ডাকাতদের পাল্লায় পড়ে খুন হতে পারেন।

তবে পুলিশ এখনো ঘটনার কারণ জানতে পারেনি। সীতাকুণ্ড থানার ওসির দায়িত্বে থাকা শামীম শেখ বলেন, কুমিরায় বাইপাস সড়কটি সমতল থেকে অনেকটা উঁচু। খুনিরা লাশটি মহাসড়কের পাশ থেকে নিচের দিকে ফেলে দিলে সেটি ঝোপের মধ্যে একটি গাছের সাথে আটকে যায়।

তিনি আরো বলেন, নিহতের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। আঘাত ও রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হতে পারে। ক্লিনিক থেকে ফেরার পথে গাড়ি চালক-হেল্পাররা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।

স্টাফ রিপোর্টার/ ফাহমিদা হক মিতি

Special Correspondent:
Related Post