X

চিকিৎসকদের বিনামূল্যে PPE দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে প্ল্যাটফর্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক,

৩১ মার্চ, ২০২০

কোভিড-১৯ মহামারীতে চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্যে বিনামূল্যে পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (PPE) দেবার লক্ষ্যে কাজ করছে প্ল্যাটফর্ম সংগঠন। সংগঠনটি মূলত বিভিন্ন ব্যক্তি ও দাতা সংগঠন ও গ্রহিতা চিকিৎসকদের মধ্যে সমন্বয় এবং প্রয়োজনীয়তা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে তা বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে। আজ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল বিন সালেহ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে প্ল্যাটফর্ম সংগঠনের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ মেডিকেল টিচার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট কর্তৃক দানকৃত ৫০ পিস গাউন ও গগলস বিতরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

অঙ্কুর ইন্টারন্যাশনাল এর দানকৃত সুরক্ষা সামগ্রী (গাউন, মেডিকেল মাস্ক) এর প্রথম লট আজ রাতের মধ্যেই পৌঁছে যাবে সিলেটে। যা বিতরণ করা হবে করোনা যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা চিকিৎসকদের। এছাড়া হিউম্যানস ফর বাংলাদেশ এর ফাইট এগেইন্সট কোভিড-১৯ উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের বাইরে থেকে আমদানী করা পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট এসে পৌছেবে আগামীকাল যা প্রাথমিকভাবে বিতরণ করা হবে ঢাকা মেডিকেল, সলিমুল্লাহ ও সোহ্‌রাওয়ার্দী  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী দেশের অন্যান্য স্থানেও বিতরণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করছে সংগঠনটি।

ডা. ফয়সাল জানান, “পিপিই ব্যাঙ্কের কোন কার্যক্রম কোনভাবেই ক্রয়- বিক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্যে বিভিন্ন ডোনারদের সাথে সমন্বয় করে তা স্বচ্ছতার সাথে বিতরণে সাহায্য করছে প্ল্যাটফর্ম। উক্ত কাজে ডা. সুমিত সাহা, ডা. জয় কুন্ডুসহ আরো অনেকেই অনেক পরিশ্রম করছেন। তাদের সকলকে ধন্যবাদ।”

সরকার ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার উদ্যোগ সত্ত্বেও এখনো সরবরাহ পর্যাপ্ত নয়। প্রচুর PPE প্রয়োজন। আদর্শ PPE বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশনা অনুযায়ী লেভেল ৪ এর সুরক্ষা দেয় যা মাত্র একবার ব্যবহার উপযোগী। সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টা ব্যবহার করা যায়। এরপর বদলে নিতে হয় এবং আগেরটি ফেলে দিয়ে নতুন আরেকটি ব্যবহার করতে হয়। সেই হিসাবে ২৪ ঘন্টা সক্রিয় করোনা ইউনিটে একজন ব্যক্তির জন্য ৭ দিনে ২১টি, মাসে ৯০টি ফুল সেট PPE দরকার। ১০ বেডের এক ইউনিটে ১জন ডাক্তার, ১জন নার্স, ১জন আয়া, ১জন ক্লিনারের জন্য মাসে ৩৬০টি ফুলসেট PPE প্রয়োজন।

জামিল সিদ্দিকী: A dreamer who want to bring positive changes in health sector in Bangladesh.
Related Post