X

কোভিড-১৯ এবং রক্তে অক্সিজেনের ঘনমাত্রা যাচাইয়ের বিকল্প পদ্ধতি

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত বাসায় আইসোলেশনে থাকা যেকোনো সিম্পটোমেটিক ব্যক্তি যদি শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন ঠিক তখন অথবা শ্বাসকষ্ট অনুভূত না হলেও নির্দিষ্ট সময় পরপর পালস অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেনের ঘনমাত্রা দেখতে পারেন। দেখার ফ্রিকোয়েন্সির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু না থাকলেও একটি রিকমেন্ডেশন হচ্ছে দিনে অন্তত ২ বার দেখা, অযাচিত উৎকন্ঠার ভয় থাকলেও এর চেয়ে বেশি বার দেখা তে বাঁধা নেই,যেহেতু লক্ষণ ছাড়াও হাইপোক্সেমিয়া (রক্তে অক্সিজেনের ঘনমাত্রা কমে যাওয়া) হতে পারে কোভিড এ যাকে বলা হচ্ছে Happy Hypoxia/ Silent Hypoxia!

শ্বাস নিতে বা ফেলতে কষ্ট হওয়া ছাড়াও অক্সিজেনের ঘনমাত্রা কমে যাওয়ার আরো একটি লক্ষণ হচ্ছে অল্প পরিশ্রমেই অযাচিত বা অস্বাভাবিক দূর্বলতা! দূর্ভাগ্যবশত যদি পালস অক্সিমিটার বাসায় না থাকে বা ম্যালফাংশনিং হয়, সেক্ষেত্রে স্ক্রিনিং টুল হিসেবে ব্যবহার করা যায় ROTH score/Breathlessness Screening Tool (BST)!

কিভাবে করতে হবে?

✓স্থির হয়ে বসতে হবে

✓পরিধেয় কাপড় একটু ঢিলেঢালা হলে ভালো হয়

✓বুক ভরে প্রথমে শ্বাস নিতে হবে

✓এক নিঃশ্বাসে, কিছুটা জোরে ও স্পষ্ট উচ্চারণে (বিড়বিড় করে না) এবং যতটা দ্রুত বলা যায় এমনভাবে ১ থেকে ৩০ পর্যন্ত গুনতে হবে

কি দেখতে হবে?

✓এক নিঃশ্বাসে কত পর্যন্ত গোনা গেলো

✓কত সময় পর দম ফেলা হলো

ইন্টারপ্রিটেশন কি হবে?

✓এক নিঃশ্বাসে যদি ৭ এর চেয়ে কম গোনা হয় অথবা ৫ সেকেন্ড এর বেশি যদি দম ধরে রাখতে না পারে,তাহলে রক্তে অক্সিজেনের ঘনমাত্রা ৯০% এর কম ধরে নিতে হবে!এক্ষেত্রে সেনসিটিভিটি ৮৭% এবং স্পেসিফিসিটি ৮২%

✓এক নিঃশ্বাসে যদি ১০ এর চেয়ে কম গোনা হয় অথবা ৭ সেকেন্ড এর বেশি যদি দম ধরে রাখতে না পারে, তাহলে রক্তে অক্সিজেনের ঘনমাত্রা ৯৫% এর কম ধরে নিতে হবে!
এক্ষেত্রে সেনসিটিভিটি ৯১% এবং স্পেসিফিসিটি ৯৩%

সীমাবদ্ধতা:

✓ভ্যালিডেটেড টেস্ট না

✓কখনোই পালস অক্সিমিটারের বিকল্প না

✓রোগীর ইফোর্ট এর সাথে জড়িত,তাই একাধিক বার করে নিশ্চিত না হওয়ার কোনো বিকল্প নাই(সেক্ষেত্রে বেস্ট ইফোর্ট গ্রহণযোগ্যতা পাবে)

✓ দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের অসুখে ভোগা ব্যক্তি অথবা আগে থেকে ফুসফুসের অসুখ না থাকা ব্যক্তির ক্ষেত্রে ইন্টারপ্রিটেশনে পার্থক্য না থাকা

ডা. মুশফিক নেওয়াজ আহমেদ
রেসিডেন্ট, পালমোনোলজি
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল,
মহাখালী, ঢাকা

অংকন বনিক:
Related Post