X

কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প  || পর্ব : ১৩

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৩ নভেম্বর ২০২০, সোমবার :

অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
চিকিৎসক, কাউন্সিলর,
সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার,
ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ।

মেয়েটি সিঙ্গেল মাদার। ভালো চাকরি করে। ডিভোর্স হয়েছে ৬ বছর। একটাই বাচ্চা, পড়ে জুনিয়র সেকশনে। বাচ্চাটা মা’র সাথেই থাকে। বছরকয়েক আগে মেয়েটার অফিসে ট্রান্সফার হয়ে আসে ছেলেটা। তারও ডিভোর্স হয়ে যায় অন্য কোনো কারণে। দিন যায়, আস্তে আস্তে ঋতুপরিবর্তনের সাথে সাথে ছেলেটি ও মেয়েটির সম্পর্কের রসায়নও গাঢ় হয়। মেয়েটির বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকতে থাকতে কেমন এক অদ্ভুত নির্ভরতার আশ্বাস ছেলেটি মেয়েটিকে দিতে থাকে। একসময় যখন মেয়েটি বিয়ের কথা বলে ছেলেটি টালবাহানা করে পেছাতে থাকে।

মেয়েটি বলে, “আমিতো জড়াতে চাইনি, ওই তো আমাকে আগে প্রপোজ করে, দিনের পর দিন আমার পিছে ঘুরে ঘুরে আমাকে রাজি করিয়েছে। এবার যখন আমি সর্বস্ব দিয়েছি তাহলে এখন কেনো মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে?”

তারপর সেই কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প-

ছবি : কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প

নিজেকে উজাড় করে কাউকে দেবার আগে খেয়াল করেছেন তো পাত্রটির ধারণ ক্ষমতা কতটুকু? আপনি ১০ লিটার ভালোবাসা দেবেন আর সে যদি ১ লিটারেই উপচে পড়ে তাহলে বাকি ৯ লিটার ভালোবাসা ধারণ করবার কোনো ক্ষমতাই তার নেই। তবে কেন আপনি একজন অক্ষমের পিছে আপনার টাইম, এনার্জি, টাকা ব্যয় করবেন? তাঁকে তার মাপের ১ লিটারের কাউকে খুঁজে নিতে দিন না! আপনি সরে আসুন। বাঁদরের গলায় মুক্তোর মালা নাই বা দিলেন। জীবনের পথ অনেক লম্বা, কে জানে কোনো মোড়ে ১০ লিটার নিতে পারে এমন কেউ সেই ভালোবাসা-আবেগ নিয়ে আপনারই প্রতীক্ষায় আছে? জীবন রূপকথার থেকেও আজব।

যাঁরা অন্যের ভালোবাসা কে সন্মান করতে পারেন তাঁদের জন্য অনেক ভালোবাসা।

Firdaus Alam:
Related Post