X

আজ থেকে ফরিদপুর মেডিকেলে শুরু হলো করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা

প্ল্যাটফর্ম নিউজ,
সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০

আজ থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ল্যাবরেটরিতে শুরু হলো করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা। ইতোমধ্যে দেশের অনেক সরকারি মেডিকেল কলেজে করোনা শনাক্তকরণে ব্যবহৃত পিসিআর মেশিন পৌঁছে গেছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের চতুর্থ তলায় করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ব্যবহৃত পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আজ সোমবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম চালু হয়।

এ সময় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দিকুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খবিরুল ইসলাম, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান, ফরিদপুর বিএমএ’র সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এস এম খবিরুল ইসলাম বলেন,

“ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের মাধ্যমে প্রাপ্ত নমুনা এখানে শুরুতে পরীক্ষা করা হবে। প্রথম দিনে ৫৭টি নমুনা পাওয়া গেছে। এ মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ৯৪টি নমুনা টেস্ট করা যাবে। প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত নমুনা দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু করা হবে। পরে আশপাশের অন্যান্য জেলার নমুনাও পরীক্ষা করা হবে।”

জানা গেছে, প্রথম দিনে ৫৭টি নমুনা পাওয়া গেছে।প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে নমুনা পরীক্ষার জন্য এক হাজার কিট এসেছে।

পিসিআর ল্যাবের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এস এম খবিরুল ইসলাম। এ ছাড়া ল্যাব পরিচালনার জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হলেন কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল আলম, প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. ওয়াদুদ মিয়া এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল কাদের। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে সাতজন টেকনিশিয়ান এখানে কাজ করবেন।

বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল কাদের জানান,

“এই ল্যাবরেটরিতে কর্মরতদের জন্য N-৯৫ মাস্ক ও পিপিই পাওয়া গেছে, তবে তা অপর্যাপ্ত। এ ছাড়া যন্ত্রপাতি ও নমুনার বর্জ্য জীবাণুমুক্ত করার জন্য যেই অটোক্লেভ মেশিন দরকার- সেটিও প্রয়োজনের তুলনায় ছোট। আমাদের আরো অন্তত ৩০০ N-৯৫ মাস্ক এবং আরেকটি অটোক্লেভ মেশিনের (স্বয়ংক্রিয় জীবাণুমুক্ত) দরকার। এ জন্য ঢাকার সিএমএসডিতে (সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপার্টমেন্ট) তাদের লোক পাঠানো হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, করোনা প্রতিরোধে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হয়ে, নিজগৃহে অবস্থান করেই সুস্থ ও নিরাপদ থাকা সম্ভব।

নিজস্ব প্রতিবেদক/ অংকন বনিক জয়

অংকন বনিক:
Related Post