X

COVID-19 বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত সাম্প্রতিক পদক্ষেপ

১২ মার্চ, ২০২০

এমুহুর্তে দেশে সংক্রমন বাড়ার আশংকা যেভাবে বাড়ছে একইভাবে আতংক ও গুজব ও বাড়ছে। ফলে যথাযথ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মোতাবেক Risk Communication জরুরী হয়ে পড়েছে। IEDCR এর নিজস্ব রিস্ক কমিউনিকেশন টিম তো আছেই, এর বাইরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও a2i এর সমন্বয়ে একটি কমিউনিকেশম টিম তৈরি করা হয়েছে। সহায়তায় আছে প্ল্যাটফর্ম। টিমটি ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমন সংক্রান্ত কিছু এনিমেটেড কনটেন্ট তৈরি করেছে যা সারাদেশে বিভিন্ন ডিজিটাল বিলবোর্ড, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ডিসি অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি ফেসবুক পেইজ থেকে শেয়ার করা হচ্ছে। সচেতনতা তথ্য সম্বলিত মোবাইল এসএমএস পাঠানো হচ্ছে যা ইতিমধ্যে হয়তো অনেকে পেয়েছেন। এ উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধেয় চিকিৎসক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ স্যারের বিশেষ ইন্টারভিউ নেয়া হিয়েছে যা আগামীকাল থেকে একই প্রক্রিয়ায় সারাদেশে প্রচার করা হবে। এইসব বার্তার প্রচার, মানুষের প্রশ্ন সংগ্রহ, গুজব বা মিথ্যা তথ্য দমন, নতুন বার্তা তৈরি, বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছানো ও জরিপ করা ইত্যাদি বিষয়ে কারিগরী সহায়তা দেবার জন্য আজ Facebook Regional Office এই রিস্ক কমিউনিকেশন টিমের সাথে কোলাবোরেশন তৈরি করেছে। Facebook শুধুমাত্র করোনা নয়, ডেঙ্গু বিষয়েও একইভাবে কাজ করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে। আপনারা কেউ এ ধরনের মিথ্যা তথ্য (যেমন করোনা বিকল্প চিকিৎসা…ইত্যাদি) শেয়ার হতে দেখলে রিপোর্ট করুন।

দেশে মাস্ক ও PPE এর তীব্র সংকট রয়েছে এই মুহুর্তে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় আনার চেস্টা অব্যাহত আছে। ততদিন বসে না থেকে COVID-19 বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি ও IPC কমিটির পরামর্শ ও অনুমোদন ক্রমে ম্যাটেরিয়াল বাছাই, ডিজাইন বাছাই শেষে a2i এর সহায়তায় বিশেষ ল্যাবে PPE এর প্রোডাকশন শুরু করা হয়েছে যা কয়েকদিনের মাঝে অধিদপ্তরে পৌছাবে।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মোতাবেক ন্যাশনাল প্রিপেয়ার্ডনেস গাইডলাইন তৈরি হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার করা কান্ট্রি ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশ ২য় ফেইজে আছে অর্থাৎ ইম্পোর্টেড কেইস (ট্রাভেল হিস্ট্রি) এর দেশ। পরিস্থিতি অনুসারে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা প্রয়োগ করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে

https://m.facebook.com/dghsbd/photos/a.976886619079035/2431346966966319/?type=3&source=48
এই বিজ্ঞপ্তিটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছে আজ।

আইইডিসিআর এর ১২টি হটলাইন এর মাধ্যমে এত কল সামলাতে সমস্যা হওয়ায় জাতীয় তথ্যসেবা নম্বর ৩৩৩ ও স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ করোনা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসায় যুক্ত করা হয়েছে, সাধারন তথ্যের জন্য IVR ব্যবস্থা বসানো হয়েছে এবং ভবিষ্যতের আরও বেশি কল সামলানোর উদ্দেশ্যে মেশিন লার্নিং টুল ব্যবহারের কাজ চলছে। এছাড়াও এ মুহুর্তে এই কাজে বড় সংখ্যক সেচ্ছাসেবী চিকিৎসক প্রয়োজন যারা একটি এপ এ সাইন আপ করবেন এবং আপনার সুবিধামত দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য ব্যয় করবেন। এপটি উবার এর মত হবে, যেখানে মানুষ সার্চ করার মাধ্যমে ঐ মুহুর্তে যে চিকিৎসক এভাইলেবল থাকবেন তার কাছে কল যাবে। একাজে যেসকল চিকিৎসক জড়িত থাকবেন এবং বাকিদের জন্যেও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রেনিং মডিউল ও লোকাল গাইডলাইন অনুসারে একটি ই-লার্নিং কোর্স চালু হবে আগামী সপ্তাহে, সরকারি ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম মুক্তপাঠে। কোর্সটিতে সাধারন জিজ্ঞাসা থেকে শুরু করে কিভাবে আউটডোর সেটাপে চিকিৎসা দেবেন, কখন রেফার করবেন ইত্যাদি সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া থাকবে।

লিখেছেন-
মারুফুর রহমান অপু,
ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (মেডিকেল বায়োটেকনোলজি)
এমআইএস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

Publisher:
Related Post