X

ডা শামস এল আরেফিনঃবাংলাদেশে শিশুমৃত্যু প্রতিকারে কাজ করে যাওয়া এক অগ্রদূত

শামস এল আরেফিন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান হিসেবে কর্মরত। সেখানে তিনি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা করেন।  ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে এমপিএইচ এবং পিএইচডি করেন। ডা আরেফিন এছাড়াও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথে প্রফেসর হিসেবে রয়েছেন। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের এপিডেমিওলজি পড়ান এবং থিসিসের সময় তাদের তত্ত্বাবধান করেন।

ডা আরেফিন ২৫ বছর ধরে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছেন। এর ভিতর ৯ বছর সরকারি চাকরি করেন। তিনি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য নানা সহজ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। তিনি গবেষণা ডিজাইন করা এবং কিভাবে সেটা বাস্তব জীবনে ইমপ্লিমেন্টেশন করতে হবে সেটা নিয়ে কাজ করেছেন।
তিনি বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন এনজিওকে কারিগরি সুবিধা দিয়ে থাকেন। তিনি বাংলাদেশের নানা নীতিনির্ধারণী কমিটি এবং ফোরামে সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যেমন National Committee on Immunization Practices, National Newborn Health Strategy এর টেকনিক্যাল সাবকমিটি, Bangladesh Demographic and Health Survey, Urban Health Survey এবং Bangladesh Maternal Mortality Survey।

নবজাতকের নাভিতে ক্লোরহেক্সিডিন লাগানোর মাধ্যমে নাভিতে সংক্রমণ রোধ, স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে পোস্ট ন্যাটাল চেকআপের মাধ্যমে নবজাতকের মৃত্যু কমানো ইত্যাদি বিষয়ের উপর নীতিনির্ধারণে অবদান রাখেন।

২০০৩ সালে ল্যানসেটের চাইল্ড সিরিজের আর্টিকেলগুলোতে তিনি অবদান রাখেন। ২০১৩ সালে ল্যানসেট বাংলাদেশ সিরিজের আর্টিকেলে তিনি অবদান রাখেন। সেখানে তিনি দেখান কমিউনিটি বেসড এপ্রোচের মাধ্যমে কিভাবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যবিষয়ক নানাখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। তিনি ২৪০ টির বেশি গবেষণাপত্র, রিপোর্ট , ওয়ার্কিং পেপার লিখেছেন।

এখানে তাঁর গবেষণাপত্রগুলো দেখতে পারেন।

rajat:
Related Post