X

৩৩ তম বিসিএস এর গেজেটেড দের জন্য পরবর্তী (সম্ভাব্য) ঘটনাপ্রবাহ

লেখকঃ প্রসূন বিশ্বাস

ওয়েবসাইটে(http://www.dghs.gov.bd/index.php/bd/) যোগদান পত্রের নমুনা ও কি কি কাগজ ওইদিন আনতে হবে ( যদি লাগে ) তা আপলোড করা হবে ৭ তারিখের আগেই। ওই নির্দেশ মেনে ৭ তারিখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ( মহাখালি কাঁচা বাজারের পিছনে) যোগদান করতে হবে। একটি সিল মারা যোগদান পত্র আপনাকে দেয়া হবে সেটা আজীবন সংরক্ষন করতে হবে। কারন এটিই আপনার মূল যোগদান পত্র হিসেবে সারা জীবন বিবেচিত হবে। এর পর কি ঘটবে তা নিয়ে দ্বিমত আছে কেউ কেউ বলছেন যে গত কয়েক বিসিএস এর মত এবার সরাসরি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগ দেয়া হবে না। বরং বিভাগে হস্তান্তর করা হবে ( ঢাকা, চিটাগাং, সিলেট ইত্যাদি) এরপর বিভাগীয় অফিস থেকে উপজেলায় নিয়োগ দেয়া হবে। তখন সেই নির্দেশ অনুযায়ী যার যার কেন্দ্রে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার কাছে গিয়ে যোগদান করতে হবে। ঢাকা বিভাগীয় অফিস মতিঝিলে। সম্ভবত বিল্ডিঙের নাম আউয়াল টাওয়ার। জীবন বিমা ভবনের অপজিটে যত দূর মনে পড়ে।

আরেক দল নিকট অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছেন যে যোগদানের ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে সরাসরি ডিজি অফিস (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) থেকে পোস্টিঙের অর্ডার করা হবে। তো এইদুটোর যেটাই হোক কিছু কাজ এখনি করে রাখা ভাল। যেমন- এস এস সি থেকে শুরু করে এম বি বি এস, ইন্টার্ন সমাপ্তিকরন, বিএমডিসি সনদ, যোগদান পত্র, গেজেটের কপি ( ভয় নাই, পুরাটা না- প্রথম পাতা, যে পাতায় আপনার নাম আছে ওই পাতা আর শেষ পাতা ) এই গুলো ১০-১৫ টি করে ফটোকপি করে রাখুন সাথে ১০-২০ কপি ছবি। এর মধ্যে ৭-৮ কপি এটেস্টেড করিয়ে রাখুন।

প্রেসক্লাবের উল্টা পাশে রাস্তায় ( বিএম এ ) ভবনের পাশে কিছু দোকান আছে। সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে হলে রাজস্ব স্ট্যাম্পে কিছু অঙ্গিকার করতে হয় এবং আপনার সম্পদের হিসাবের একটি বিবরন জমা দিতে হয় ( ভাই, এই নিয়ম কিতাবে আছে কিন্তু আমারটা আমি এখনও জমা দিতে পারি নাই বিকজ কেউ চায় ই নাই!) তো ওই দোকানগুলোতে আপনি এই গুলো সেট আকারে পাবেন। ৫০০ টাকার মত লেগেছিল বছর দুয়েক আগেও।

গুনিজনেরা কহেন-

১। দুটো আলাদা বড় দেখে সুন্দর ফাইল রাখার কিছু একটা কিনে ফেলেন আর এর মধ্যে চাকরির আর শিক্ষাগত জীবনের সব সার্টিফিকেট, চিঠি, অর্ডার, আপনার করা দরখাস্তের কপি এগুলো সংরক্ষন করা শুরু করেন। সব কাগজ হাতে রাখবেন। কখন কোথায় কোনটার প্রয়োজন হবে তার কোন ঠিক আছে?

২। পোস্টিং কোথায় হবে এইটা নিয়ে সবাই চিন্তিত। এজন্য ধরাধরি, তদবির, ধর্না দেয়া এগুলো নিশ্চিত কাল রাত থেকে শুরু হয়ে গেছে। তবে শুরুতেই এগুলো না করাই ভাল। বিশ্বাস করেন এগুলো করতে গিয়ে পদে পদে ধাক্কা খাবেন, ছোট হবেন, অপমানিত বোধ করবেন আর টাকা তো আছেই। বরং যেখানেই আপনাকে পাঠাক গিয়ে আগে জয়েন করেন। দেখেন না একটু গ্রামের জীবন যাপন কেমন! পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক আপনার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভাল চিকিৎসাটা গরিব মানুষকে একটু দেন। আপনি, আমি আমরাই হলাম দেশের টপ মেরিটোরিয়াস। পৃথিবীর কঠিন তম ডিগ্রীটি করে আমরা হাস্যকর বেতন ও বিলাসের জীবন ছেড়ে পিতৃ পুরুষের ভূমির মানুষের সেবা করছি এই অনুভুতিটা আপনি টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন না।

সবশেষে ” দিল্লিকা লাড্ডু”র রিয়াল লাইফ চমৎকার একটা উদাহরন বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের চাকরিটি। নেগেটিভ জিনিসগুলোই সামনে আসবে ও চোখে পড়বে বেশি। তবে আপনি যদি একটু জিদ করে খুটি গাঁড়তে পারেন আর সিসিডি, সি আলট্রা এগুলো করা থাকলে এবং ” ধান্দা ” টা যদি বুঝতে পারেন তাহলে মোটামুটি বেতনের টাকায় হাত না দিলেও চলবে। তবে সবকিছুই আপেক্ষিক এটা মনে রাখবেন। শুভকামনা।

ডক্টরস ডেস্ক: bddoctorsplatform@gmail.com

View Comments (2)

Related Post