X

রংপুর নর্দান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দিনব্যাপী এন্টিবায়োটিক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান পালন

১৯শে জানুয়ারি, রবিবার ২০২০

শনিবার রংপুর নর্দান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু হয় এন্টিবায়োটিক সচেতনতামূলক সপ্তাহ। ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে সামাজিক সচেতনতামূলক এই অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।
শনিবার সকালে নর্দান মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা:মো:খলিলুর রহমান স্যারের অনুমতিক্রমে কলেজ ক্যাম্পাসে এন্টিবায়োটিক সচেতনতামূলক ব্যানারটি উন্মোচন করা হয়।
এরপর অনুষ্ঠান পরিচালনা ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা:উত্তম কুমার রায়।
কলেজের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
এসময় ডা:রিশাত করীম রিংকি সামাজিকভাবে এই সচেতনতার গুরুত্ত তুলে ধরেন।
উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে বক্তব্য রাখেন হাসান রহমান সজিব ও মিনহাজুল করিম তুষার,ওয়াসিফ হোসেন।

এরপর মেডিকেল কলেজ এরিয়া পাকার মাথা থেকে পূর্বগেট এলাকার সকল ঔষুধের দোকানে লিফলেট প্রদান করা হয়, অপরিকল্পিত এন্টিবায়োটিক ব্যাবহারের কুফলগুলো তুলে ধরা হয়।
রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন ব্যাতীত ঔষুধ না দেওয়ার আহ্বান করা হয়।এন্টিবায়োটিকের কোর্সের পরিপূর্ণতা সম্পর্কে গ্রাহককে অবহিত করন এবং এ বিষয় গুলো সম্পর্কে সচেতন করানো হয়।
সাধারণ জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণকালে,
রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতীত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে অনুৎসাহিত করা হয়
টিকা সময় মত দেওয়া সম্পর্কে অবহিত করানো হয়।
রোগের লক্ষণে মিল থাকলেই নিজের ঔষধ অন্যকে সেবনের পরামর্শ না দিতে পরামর্শমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়।

এরপর দুপুর ২ টায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আয়োজনে কলেজ ক্যান্টিনেই আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভার।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন নর্দান মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা:মো:জহুরুল হক। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে এন্টিবায়োটিক সচেতনতামূলক অনেক জ্ঞ্যানগর্ভ আলোচনা হয়। মুল বক্তব্য দেয় ডা:রোকোনুজ্জামান পাভেল এরপর বক্তব্য দেয় প্রতিষ্ঠানটির কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা:মো:শহীদুল্লাহ আজিজি। উপস্থিত ছিলেন ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা:মো:আজিজার রহমান স্যার। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয় শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা।
সচেতনতা ছাড়া প্রতিকার অসম্ভব। নিজে সচেতন হওয়া জরুরী, পরিবারকে সচেতন করা জরুরী। এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সের এতটা আধিক্য বিস্তারের মুল কারন রেজিস্ট্রেশন বিহীন ডাক্তার পরিচয়ধারী বিভিন্ন কোয়াক,স্যাকমো।এদের বিরুদ্ধে সামাজিক অবস্থান জোরালো করার ব্যাপারে আহ্বান জানানো হয়।

তথ্যসূত্র
হাসান রহমান সজীব

নিজস্ব প্রতিবেদন

প্ল্যাটফর্ম

প্ল্যাটফর্ম স্টাফ রিপোর্টার:
Related Post