X

বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে “বিশ্ব ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস”

১৫ নভেম্বর ২০১৯

গতকাল ১৪ নভেম্বর ২০১৯ বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হল “বিশ্ব ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস”। “বিশ্ব ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস – ২০১৯” এর প্রতিপাদ্য বিষয় “ডায়াবেটিস এবং পরিবার”।

বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক মারণ রোগ। বিশ্ব পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় ২০১৭ সাথে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন৷

শরীরে যখন রক্তে চিনি (গ্লুকোজ) এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে। এছাড়াও ডায়াবেটিস জনিত জটিলতার কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি, হতে পারে ডায়াবেটিক ফুট।

চিকিৎকরা বলছেন, ডায়াবেটিসের এতো ঝুঁকি থাকার পরেও যতো মানুষ এই রোগে আক্রান্ত তাদের অর্ধেকেরও বেশি এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন নয়।

ডায়াবেটিস যে কোনো বয়সেই হতে পারে। ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস ১ কম বয়সে হয় এবং বেশি বয়সে হয় ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস ২।

অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে:

– খুব তৃষ্ণা পাওয়া
– স্বাভাবিকের চাইতেও ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। বিশেষ করে, রাতের বেলায়
– ক্লান্ত বোধ করা
– কোন কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া
– প্রদাহজনিত রোগে বারবার আক্রান্ত হওয়া
– দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া
– শরীরের কোথাও কেটে গেলে সেটা শুকাতে দেরি হওয়া

যদিও ডায়াবেটিস অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে হয়ে থাকে, এরপরও মানুষের জীবন যাত্রার ধরণে কিছুটা পরিবর্তন করলেই এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
যেমন –
– প্রতিদিন ব্যায়াম করা
– তেল – চর্বি জাতীয় খাদ্য এড়িয়ে চলা
– শাক-সবজি বেশি খাওয়া
– ধূমপান না করা
– বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার না খাওয়া
– এরপরও যদি রোগ নিয়ন্ত্রণ না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনু্যায়ী ওষুধ সেবন করা কিংবা ইনসুলিন গ্রহণ করা৷

আর এবারের ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস – ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য বিষয় যেহেতু “ডায়াবেটিস এবং পরিবার ” সেক্ষেত্রে পরিবার থেকেই সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন৷

– ছোটবেলা থেকেই শিশুদের শারীরিক পরিশ্রম এবং পুষ্টিকর খাবারের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব।

– পরিবারের ডায়াবেটিস আক্রান্ত সদস্যদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

– সবসময় ডায়াবেটিস রোগীদের (বিশেষত ইনসুলিন গ্রহণকারী) হাতের কাছে মিষ্টি জাতীয় খাদ্য দ্রব্য রাখা উচিত, যাতে দুর্বল অনুভব করলে অথবা চোখে অন্ধকার দেখলে, খেতে পারেন। কারণ হাইপোগ্লাইসেমিক শক ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায়, যা মৃত্যু কারণ হতে পারে।

– ডায়াবেটিস রোগেদের চোখের যত্ন এবং পায়ের যত্ন নেওয়া উচিত।

পরিবারের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডায়াবেটিস এর মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব।

প্রতিবেদক/সুমাইয়া নার্গিস

Platform:
Related Post