X

বাংলাদেশে গবেষণা কার্যক্রম আরও উন্নতিতে প্রয়োজন যথাযথ উদ্যোগ- ডা. শুভাগত চৌধুরী

  1. প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

চিকিৎসা ক্ষেত্রে গবেষণা অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশে এতটা কেন হয় না এর অনুসন্ধান প্রয়োজন। কারণ দেশের সত্যিকার উন্নতি আর মর্যাদার জন্য এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক। আর কতদিন আমরা গ্রহীতার ভূমিকায় থাকব? পৃথিবীর অন্যান্য দেশ আবিষ্কার করবে আর আমরা ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে শুধু গ্রহণ করবো? আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা বিদেশে গবেষণায় সুনাম অর্জন করছেন তাহলে প্রতিবন্ধকতা কোথায়? গবেষণা সঠিকভাবে হয় না এ কথা যথেষ্ট নয়, কেন হয়না তা খতিয়ে দেখতে পারলে দেশের উন্নতি হবে।

প্রত্যেক দেশে বেশ কিছু অগ্রাধিকার থাকে। বিজ্ঞানে আর বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণা অবশ্যই তা দাবি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে কি পরিমান বিনিয়োগ আছে? বাজেটে কি আলাদা অর্থ বরাদ্দ আছে বা যারা বিদেশে এ ধরনের গবেষণা করেন তারা জানেন কি পরিমাণ বিনিয়োগ লাগে রাসায়নিক যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য আয়োজনে। বিদেশে হর- হামেশা নীতিনির্ধারকরা যান, তারা নিশ্চয়ই অবহিত এ ব্যাপারে। হবে না, পারবে না, দেখি পরে দীর্ঘ সূত্রিতা এদেশে কি গবেষণা? এ ধরনের চিন্তা এক ধরনের অচলায়তন যারা গবেষণা করতে গিয়ে এর মুখোমুখি হন, এরা গবেষণা বাদ দেন তা না হলে প্রাকটিসে ঢুকেন না হলে বিদেশে পাড়ি জমান। করোনার মত বিশ্ব মহামারীতে আমাদের গবেষণা কি খুব উল্লেখযোগ্য? এমন ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিনিয়োগ আর গবেষকদের প্রণোদনা আর সহায়তা কি প্রয়োজন ছিলনা? যারা বিদেশে যান উন্নত দেশে তারা কি শেখেন? আমাদের গবেষকদের সক্ষমতা নাই আমি স্বীকার করিনা। এরাই কেন বিদেশে নানা আবিষ্কার করেন আর আমরা পত্রিকায় সাফল্যের খবর ছাপাই। এটাতো দেশের সাফল্য নয় বরং ব্যক্তির সাফল্য। তাই এ নিয়ে গর্বের স্থান কম। এমন পরিবেশ কি দেশে তৈরি করা খুব কঠিন? ল্যাবরেটরিতে গবেষণা, জেনেটিকস, বায়োকেমিস্ট্রি, ভাইরোলজি, মলিকুলারবায়োলজি, ইম্যুনোলজি এসব ক্ষেত্রে ব্যাপক গবেষণা আর বিনিয়োগ প্রয়োজন। এটি সময়ের দাবী। পিছিয়ে পড়ে যাতে না থাকতে হয় তা ঠেকাতে এগুলো প্রয়োজন।

বাংলাদেশ এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দাঁড়িয়েছে। যা অনেক উন্নত এবং পরিপক্ক। এখন দরকার শিক্ষা গবেষণা মনন, চিন্তা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদের উন্নত করা আর বিশ্ব সভায় বিজ্ঞান আর গবেষণা আর আবিষ্কারে সমপর্যায়ে আসা। এই অচলায়তন যদি কেউ সরাতে পারেন তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা আর কেউ না। ভরসার এই স্থল আছে বলে কথা গুলো বলা তা না হলে বলা প্রয়োজন হতোনা। বালিতে উটের মুখ গুজে বসে থাকলে কাজ হয়না, সব গতানুগতিক চলে। আগামী বিশ্ব প্রতিযোগিতার, সক্ষমতা বৃদ্ধি আর একে মোকাবেলার জন্য হতে হবে প্রত্যয়ী। সমসাময়িক আমাদের থেকে পিছিয়ে থাকা অনেক দেশ তা করছে। বাহির পানে চোখ মেলে দেখলে বোঝা যাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক/ উম্মে হাবিবা সিমীন

Silvia Mim:
Related Post