X

ফাইজারের করোনা টিকা কখন দিবে?

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৬ জুন, ২০২১, বুধবার

ডা. জাহিদুর রহমান

ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছানোর কয়েকদিনের মধ্যেই কেন এটি দেয়া শুরু হচ্ছে না বলে যারা পেরেশান হয়ে গিয়েছেন, তারা দয়া করে উত্তেজনা প্রশমন করেন। করোনা ভ্যাকসিন  রিলিফের গুঁড়া দুধ না যে প্লেন থেকে নামল আর সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিলেন।

ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন মাইনাস ৯০ থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। স্বাভাবিক রেফ্রিজারেটরে অর্থাৎ ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিন সর্বোচ্চ ৫ দিন পর্যন্ত রাখা যায়। ব্যবহারের আগে এটিকে একটি বিশেষ ধরনের তরল পদার্থের সাহায্যে দ্রবীভূত করতে হয়। এক ভায়ালে ৬ ডোজ ভ্যাকসিন থাকে এবং একবার দ্রবীভূত করে ফেললে সেটি আবার রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণের কোন উপায় নেই। সুতরাং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে এবং অপচয় রোধ করতে দ্রবীভূত করার আগে কমপক্ষে ৬ জন ভ্যাকসিন গ্রহীতার উপস্থিতি নিশ্চিত হতে হবে।

ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে গত ৩১ মে রাতে। এটিকে দ্রবীভূত করার উপাদানটি এসে পৌঁছেছে গত ৮ জুন। বর্তমানে এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ, প্রস্তুতকরণ এবং প্রদান নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে। ফ্রিজিং এবং ট্রান্সপোর্ট নিয়েও কাজ চলছে। কোন কোন সেন্টারে এই ভ্যাকসিন প্রদানের সুযোগ থাকবে সেটি নিয়ে এখনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন যারা সুরক্ষা সাইটে নিবন্ধন করার পর এক ডোজ ভ্যাকসিনও পাননি। তারপর আবার নতুন করে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একই ব্যাক্তিকে দুই ধরনের ভ্যাকসিন দেয়ার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি, ভবিষ্যতে হওয়ার সম্ভাবনাও কম।

যারা বলছেন, “এক ডোজ অক্সফোর্ড নিয়েছি, এখন কি চাইনিজটা নিবো?” তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, সরকারিভাবে ভ্যাকসিন নেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের এরকম আহ্লাদ করার সুযোগ দেয়া হবে না। সরকার যখন যেটি নিতে বলবে, নিয়ে ফেলতে হবে। না নিলে ক্ষতি নিজের এবং পরিবারেরই হবে। সমস্যা হল, আমাদের এই অধিক উত্তেজনা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হওয়ার আগ পর্যন্তই। পরে আর ভ্যাকসিন নেয়ার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।

(১৯ মে তারিখের  আপডেট অনুযায়ী ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ১ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণের কথা বলা হলেও সেটি বাংলাদেশে আসা ভ্যাকসিনগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। হয়ত পরবর্তী ব্যাচগুলোর জন্য হবে। তখন এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করাও আরো সহজ হবে।)

Sarif Sahriar:
Related Post