X

নিপাহ রোগ প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে যা করনীয়

 

১০ জানুয়ারি ২০২০
নিপাহ রোগ (নিপাহ ভাইরাস) কোনো আতংক নয়। এতে প্রয়োজন উপযুক্ত সতর্কতা ও সচেতনতা।

নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত (নিপাহ ভাইরাস) সংক্রামক রোগ। এই ভাইরাসটি সাধারণত বাদুড় থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। সাধারণত ফল আহারী বাদুড় এই ভাইরাসের প্রধান বাহক।

তবে, যেহেতু আমাদের দেশে শীতকালে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয় এবং রাতের বেলায় বাদুড় কখনো কখনো খেজুরের রস পান করার জন্য খেজুর গাছের কাটা (ছিলানো) অংশে বা বাঁশের পাইপে মুখ দেয়, তাই এ সময় এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে।

নিপাহ রোগের কোন টিকা এবং সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। সতর্কতা এবং সচেতনতাই এ রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায়। এ রোগের লক্ষণ এবং প্রতিরোধের জন্য করণীয় সংক্রান্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক কিছু পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

নিপাহ রোগের প্রধান লক্ষণসমূহঃ
– জ্বরসহ মাথা ব্যথা
– মাংশপেশীতে ব্যথা
– খিঁচুনি আসা
– প্রলাপ বকা
– অজ্ঞান হওয়া
– কোন কোন ক্ষেত্রে (তীব্র) শ্বাসকষ্ট হওয়া ইত্যাদি

নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয়ঃ
১. খেজুরের কাঁচা রস খাবেন না।
২. খেজুর রস সংরক্ষণের হাড়ি ঢেকে রাখুন।
৩. কোন ধরনের আংশিক খাওয়া ফল খাবেন না।
৪. ফলমূল পরিস্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে খাবেন।
৫. নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করুন।
৬. আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৭. খেজুরের গুড়, রান্না করা খেজুরের রসের পায়েস বা রান্না করা শাক-সবজি ও ফল-মূল নিরাপদ তাই এসব খাবার যথাসম্ভব কাঁচা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

বিঃ দ্রঃ ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশী তাপে নিপাহ ভাইরাস নষ্ট হয়ে যায়।

তথ্য সূত্রঃ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
নিজস্ব প্রতিবেদক/ নাজমুন নাহার মীম

নাজমুন নাহার মীম:
Related Post