X

ত্রাণ না পৌঁছালে নিম্ন আয়ের মানুষদের ঘরে রাখা কঠিন: ডা. শুভাগত চৌধুরী

প্লাটফর্ম নিউজ, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০

[প্রতিদিন কাজ না করলে যাদের সংসার চলে না, সেই সকল দিন মজুর মানুষ, যারা দিন আনে দিন খায়, প্রানঘাতি করোনো ভাইরাসের কারনে কাজ করতে না পারা অসহায় মানুষ গুলো আজ অতি কষ্টে জীবন যাপন করছে। সরকার থেকে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য যাতে তারা এই করোনা সংকট মুহূর্তে ঘর থেকে বের না হয়। এখন প্রশ্ন উঠছে নিম্ন আয়ের মানুষরা কি সঠিক ভাবে পাচ্ছে, সরকার থেকে দেয়া ত্রাণ? এ নিয়ে কথা বললেন ডা. শুভাগত চৌধুরী।]

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বলেনঃ
নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ত্রান সঠিক ভাবে না পৌঁছালে তাদের ঘরে রাখা সম্ভব হবেনা। সরকার যথেষ্ট খাদ্য বরাদ্দ করেছেন কিন্তুু সুষ্ঠু বিতরন না হলে ব্যাপক সমস্যা হবে। আর যারা নতুন দরিদ্র হচ্ছে তারা অনেকেই ত্রাণ থেকে বাদ পড়ছেন। ক্যাশ ট্র্যান্সফার গরীবদের করলে কেমন হয়? এ জন্য দরকার লোকেদের আইডি কার্ড। সেল ফোন কোম্পানির কাছে অনেক লোকের তথ্য আছে সেলফোন কোম্পানি গুলো এক্ষেত্রে অনেক সহায়তা করতে পারে। আমাদের দেশের প্রতিরোধ কৌশল হতে পারে ভিন্ন অন্যান্য উন্নত দেশ থেকে আমাদের তরুন আর যুবক বেশি আমাদের অর্থনীতি ঠিক রাখার জন্য একই কৌশল প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ঘনবসতিপূর্ন দেশ, আমরা অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চাই না। তাই আমাদের বড় কাজ হবে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। গ্রামের মানুষদেরকে বোঝাতে হবে এবং ঝুকি প্রশমনের ব্যবস্থা করে, অর্থনীতির চাকা খুলতে হবে। দেশে আস্তে আস্তে ছড়াচ্ছে তাই বেশ কিছুদিন হয়ত ছড়াবে।এর মধ্যে ফসল তুলতে হবে । যারা ফসল তোলার কাজ করবে তাদের সুরক্ষা দিতে হবে। ভুল করে করে শিখব। ছয় মাস বা নয় মাস আমরা হয়ত লড়ব। এই সময় কে সদ্ব্যবহার করতে হবে। তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। আমরা কড়াকড়ি করছি কিন্তুু এ কড়াকড়ি কত দিন? আস্তে আস্তে খুলতে হবে, তা না হলে অর্থনীতি বসে যাবে। তাই অর্থনীতির চাকা সচল করতে হবে, আমাদের পোশাক শিল্প সচল করতে হবে, আমাদের পরিবহন চালু করতে হবে। আমাদের অনেকে দিন মজুর দিন আনে দিন খায়, অনেকে নিম্ন বিত্ত, অনেকে মধ্যবিত্ত। আমরা অর্থনীতির চাকা সচল না করলে শিল্প খাতে অন্ধকার নেমে আসবে।

আর করোনা কে, ফেলে আসা বিশ্ব মহামারী গুলোর সাথে তুলনা করলে চলবে না, আমরা এখন অনেক দক্ষ প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, আমরা এখন অনেক সমৃদ্ধ, আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতি এখন অনেক উন্নত।

নিজস্ব প্রতিবেদক / সিলভিয়া মীম

Fahmida Hoque Miti:
Related Post