X

জামালপুর বর্বরতাঃ বিচারের দাবিতে হাসপাতালে ধর্মঘট – জরুরি সেবা চলছে

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২০, মঙ্গলবার

গত ২৫শে ডিসেম্বর মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জামালপুর জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত ৩৯তম বিসিএস কর্মকর্তা ডা. চিরঞ্জীব সরকার টুটুল এর উপর নৃশংস হামলা, সরকারি প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, সরকারি কর্মকর্তাদের উপর আক্রমণ করা এবং সরকারি কার্যে বাধাদানের প্রতিবাদে গতকালও টানা দ্বিতীয় দিনের মতো জামালপুর জেলা সদর হাসপাতালে ধর্মঘট চলেছে। তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে জেলার অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সেও চিকিৎসকরা বন্ধ রেখেছেন বহির্বিভাগ সেবা। তবে জনগণের ভোগান্তি এড়াতে চলমান রয়েছে জরুরী সেবা কার্যক্রম। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালের জরুরী সেবা এবং ভর্তিকৃত রোগীদের সেবা চলমান রয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিএমএ এবং স্বাচিপের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

ছবিঃ ডা. চিরঞ্জীব সরকার টুটুল এর উপর নৃশংস হামলার চিত্র

 

ছবিঃ আহত ডা. চিরঞ্জীব সরকার টুটুল
ছবিঃ ২৫শে ডিসেম্বর সদর হাসপাতালে হামলার চিত্র

গতকাল ২৮শে ডিসেম্বর সকালে হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধিদল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশিদ আলম এর সাথে সাক্ষাত করেন। ঠিক একই সময় সারাদেশের ইউএইচএফপিওগণ বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ে সমবেত হয়ে তাঁর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে তাদের দাবি দাওয়া পেশ করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিভাগীয় পরিচালক, সিভিল সার্জন ও ইউএইচএফপিও গণ যুক্ত হন। ইউএইচএফপিও দের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবী পেশ করেন ডা. দিগন্ত (মীর মোবারক হোসেন)।

স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশনের পক্ষে স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম মুন্না এবং ইউএইচএফপিও ফোরামের পক্ষে ডা. মীর মোবারক হোসেন অভিন্ন বক্তব্য পেশ করেন। অধ্যাপক ডা.খুরশিদ আলম সে সব বক্তব্য মনযোগ দিয়ে শোনেন এবং নিজ ডায়েরিতে নোট করেন। এ সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে “স্ট্যান্ডিং কমিটি” গঠন করা হবে বলে জানান তিনি, যার কাজ হবে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে চিকিৎসক আক্রান্ত হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

অতঃপর মিটিং শেষ করেই তিনি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং সচিবকে পুরো বিষয়টি অবহিত করেন এবং জামালপুর বর্বরতায় আহত ডা. লুৎফর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে যান।

এ সময় মন্ত্রী এবং সচিব উভয়ই জামালপুর সদর উপজেলার ইউএইচএফপিও ডা. লুৎফর রহমানের সাথে কথা বলেন। ডা. লুৎফর রহমানের ভাষ্যে তাঁর উপর নির্যাতনের কথা শুনে মন্ত্রী এবং সচিব উভয়ই বিস্মিত হন। তারা (উভয়ে) এই ঘটনার বিচারের আশ্বাস দেন। সচিব মহোদয় এসময় ডিসি এবং এস.পি-কে নির্দেশ দেন, কোনো ডাক্তারকে যেন হয়রানি করা না হয়।

এদিকে, বর্বর ও নৃশংস এ ঘটনার প্রমাণস্বরূপ যথাযথ সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও ঘটনার ৬ দিন বাদেও এখনো পাওয়া যায়নি সুষ্ঠু বিচার।

হৃদিতা রোশনী:
Related Post