X

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম স্থাপনে সহায়তার হাত বাড়ালো এস আলম গ্রুপ

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

এবার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের উদ্যোগে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ৮৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫০ টাকা অর্থাৎ প্রায় ৮৫ লাখ টাকা! গতকাল রোববার (১৪ জুন) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম স্থাপনের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। এসময় সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্রকল্পের কার্যাদেশটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির কাছে হস্তান্তর করেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের পিএস আকিজ উদ্দিন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এটি স্থাপন করতে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানটির চুক্তি হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,

“চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার মূল কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৫০টি শয্যা নিয়ে হাসপাতালটিতে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দিয়ে আসছে। কিন্তু এই হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ইউনিট ছিল না, ফলে ICU’র পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে হাইফ্লো অক্সিজেন যন্ত্র স্থাপন করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।”

এর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক), চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালেও প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ভেন্টিলেটরযুক্ত ICU, হাই ফ্লো অক্সিজেন দিয়েছে এস আলম গ্রুপ।

শুধু ভেন্টিলেটরযুক্ত ICU, হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ করেই থেমে নেই এস আলম গ্রুপের কার্যক্রম। এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের জন্য ৫০০টি পিপিই ও
চট্টগ্রামের ১৪ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিটিতে ৫০ টি করে ৭০০টি পিপিই প্রদান করা হয়। এছাড়া চমেকহা’র চিকিৎসকদের ডিউটি রুমের জন্য ২টি ২ টন এসি, ২টি নমুনা কালেশন বুথ এবং BITID’র চিকিৎসকদের ডিউটি রুমের জন্য ১ টি ২ টন এসি, ২টি নমুনা কালেকশন বুথ স্থাপন করে এস আলম গ্রুপ।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে থাকা চিকিৎসকদের খাবারের জন্য এস আলম গ্রুপ ১ লাখ টাকা প্রদান করে। এছাড়া এই হাসপাতালের চিকিৎসকদের জন্য ১ টি ২ টন এসি, ২টি নমুনা কালেকশন বুথ স্থাপন করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

প্রসঙ্গত, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব সাইফুল আলম মাসুদ, চট্টগ্রামের ৫টি ও ঢাকার মুগদা জেনারেল হাসপাতালসহ মোট ৬টি হাসপাতালে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান করেছেন।

অংকন বনিক:
Related Post