X

চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৫ মন্ত্রীসভায় অনুমোদন


মন্ত্রিসভায় ‘চট্টগ্রাম
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৫’
এবং ‘রাজশাহী মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৫’ এর খসড়ার
নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার
বৈঠকে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৫-এর
খসড়া ভেটিং সাপেক্ষে অনুমোদন
দেয় মন্ত্রিসভা।
নিয়মিত বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ
সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন
ভুঁইঞা সাংবাদিকদের এ কথা
জানান।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এখন দেশে মোট
তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
হলো। আগের বিশ্ববিদ্যালয়টি হলো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।’
দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির
জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি করা হয়েছে
বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতাল দু’টি আগের মতোই
থাকবে। ওই অঞ্চলের অন্য মেডিকেল
কলেজগুলো নতুন দু’টি মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বিশেষায়িত চিকিৎসক তৈরি ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন। এজন্য স্বাস্থ্যখাতে শিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণার সুযোগ থাকে। দেশে বর্তমানে একটি মাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়)। এটি ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারছে না। স্বাস্থ্যখাতে বিশেষায়িত চিকিৎসক দরকার।

আইনের খসড়ায় ৫৭টি করে ধারা রয়েছে, জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পরিমার্জন করে ধারা কম-বেশি হতে পারে। আইনে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্য, ক্ষমতা, কর্তৃপক্ষে গঠন ও ক্ষমতা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এখতিয়ার, পাঠদান পদ্ধতি, সংবিধি এবং বিধিমালা প্রণয়ন ও প্রবিধান তৈরির কথা বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এবং ওই অঞ্চলের মেডিকেল কলেজগুলো দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এফিলিয়েটেড (অধীভুক্ত) থাকবে।

দুই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর (পোস্ট গ্রাজুয়েট) পর্যায়ে পাঠদান হবে। স্নাতক ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকবে কলেজের অধীনে।

তবে নার্সিংয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়ানো হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েও তাই রয়েছে।

এফিলিয়েটেড থাকার কারণে কলেজগুলোর শিক্ষার মানোন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর (আচার্য) হবেন রাষ্ট্রপতি। একজন করে উপাচার্য, দু’জন করে উপ-উপাচার্য এবং একজন করে কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থাকবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক বা চিকিৎসা শাস্ত্রে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি চার বছরের জন্য উপাচার্য নিয়োগ করবেন। তবে তারা দুই মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট, একাডেমিক, ডিন, কারিকুলাম, ফাইন্যান্স, শৃঙ্খলা ইত্যাদি কমিটি থাকবে। সিন্ডিকেটের সভাপতি হবেন উপাচার্য, এতে দু’জন সংসদ সদস্য, উপ-উপাচার্য ছাড়াও বিভিন্ন পেশার লোকজন থাকবেন। সরকারের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি থাকবেন।

আইনে সিন্ডিকেট, একাডেমিক কমিটির ক্ষমতা ও দায়িত্ব ছাড়াও অনুষদ ও বিভাগ কী করবে, ফ্যাকাল্টি কী করবে- সব কমিটির দায়দায়িত্ব বলা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তিন ধরনের সাব-অর্ডিনেট ‘ল’ থাকে, জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো হলো সংবিধি, বিধি ও প্রবিধান। সিন্ডিকেট সংবিধি করতে পারবে, তবে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে। সংবিধির আলোকে একাডেমিক কাউন্সিল সংবিধির আলোকে বিধি তৈরি করবে। প্রবিধান তৈরি করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

কী অনুশাসন দেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংবিধি প্রণয়নের পদ্ধতি অস্পষ্টতা ছিল, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক কী হবে, সে অস্পষ্টতা দূর করার অনুশাসন দেওয়া হয়েছে। এ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হবে।

মেডিকেলের সঙ্গে বিদ্যমান হাসপাতাল থাকবে কিনা, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনে এ বিষয়ে বলা নেই। তবে হাসপাতাল থাকতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো ব্যবহার করবে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

সূত্রঃ বাংলা নিউজ২৪, অন্তর্জাল

ডক্টরস ডেস্ক: bddoctorsplatform@gmail.com
Related Post