X

ক্রাইস্টচার্চ হামলাঃ সম্প্রতির জন্য একজন চিকিৎসকের ডাকে ঐক্যবদ্ধ সবাই

সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতে পারেন এমন আতঙ্কে দেশটির মুসলমান নারীরা হিজাব পরে ঘর থেকে বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন।

বিষয়টি জানতে পেরে অকল্যান্ডের চিকিৎসক থায়া অ্যাশম্যান ‘হেডস্কার্ফ ফর হারমনি’ নামে একটি আন্দোলনের ডাক দিয়ে নিউ জিল্যান্ডের জনগণকে মুসলমানদের প্রতি সমর্থন জানাতে শুক্রবার মাথা ঢেকে বাইরে বের হওয়ার আহ্বান জানান।

ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্ত মুসলমানদের প্রতি সংহিত ও সমর্থন জানাতে শুক্রবার নিউ জিল্যান্ড জুড়ে হাজারো নারী মাথা ঢেকে বের হন।

ঠিক এক সপ্তাহ আগে উগ্র ডানপন্থি এক অস্ট্রেলীয় ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তারপর থেকে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতে পারেন এমন আতঙ্কে দেশটির মুসলমান নারীরা হিজাব পরে ঘর থেকে বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন।

বিষয়টি জানতে পেরে অকল্যান্ডের চিকিৎসক থায়া অ্যাশম্যান ‘হেডস্কার্ফ ফর হারমনি’ নামে একটি আন্দোলনের ডাক দিয়ে নিউ জিল্যান্ডের জনগণকে মুসলমানদের প্রতি সমর্থন জানাতে শুক্রবার মাথা ঢেকে বাইরে বের হওয়ার আহ্বান জানান।

অ্যাশম্যান বলেন, “আমি বলতে চেয়েছি, আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। আমরা চাই আপনার নিজের রাস্তায় আপনি বাড়ির মত নিরাপদ বোধ করুন। আমরা আপনাকে ভালোবাসি, সমর্থন করি ও সম্মান করি।”

গত ১৫ মার্চ জুমার নামাজের সময় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ হামলায় নিহতদের স্মরণে শুক্রবার দুপুরে দুই মিনিটের জন্য নীরব থেকেছে পুরো নিউ জিল্যান্ড। ঠিক তার আগে নিউ জিল্যান্ডে বসবাসরত মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানাতে সকল প্রচারমাধ্যমে প্রচার করা হয় জোহরের আজান।

জুমার নামাজের সময় বুলেট জর্জরিত আল নূর মসজিদের বাইরে হ্যাগলি পার্কে জড়ো হয় হাজারো মানুষ, তাদের মধ্যে ছিলেন স্বয়ং নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন। সবার বিষাদ ভরা চোখে ছিল ভালোবাসা, সহমর্মিতা।

এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীরা স্কার্ফ দিয়ে মাথা ঢাকা ছবি পোস্ট করেন।

ক্রাইস্টচার্চের বাসিন্দা বেলি সিবলি বলেন, “কেন আমি আজ মাথা ঢেকেছি? প্রথম কারণ হচ্ছে, যদি আজ কেউ বন্দুক তুলে কাউকে নিশানা করে তবে আমি তাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাব এবং আমি চাই সে যেন পার্থক্য করতে না পারে। কারণ, আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।”

মসজিদে হামলায় নিহতদের দাফন কাজ বৃহস্পতিবারও হয়েছে। ওইদিন কবরস্থানে পাহারারত এক নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে কালো কাপড়ে মাথা ঢেকে হাতে অটোমেটিক রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

ওয়েব টিম:
Related Post