X

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এগিয়ে এল কুষ্টিয়া জেলার একদল উদ্যোমী চিকিৎসাশিক্ষার্থী

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২২ জুন, ২০২০, সোমবার

পুরো বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাস অতিক্রম করছে। দেশে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এরমধ্যে নানা কাজ করে যাচ্ছে। তারই মাঝে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা নিয়েছে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। সারাদেশেই কিটের সংকট সহ লোকবলের অভাবে করোনা টেস্ট ও ফলাফল পাওয়া বেশ সময়সাপেক্ষ হয়ে দাড়িয়েছে। এমতাবস্থায় জেলার কোনও মেডিকেল শিক্ষার্থী বা তাদের পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় যাতে কালক্ষেপণ না হয় এজন্য জেলার সকল উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সহযোগিতায় নমুনা সংগ্রহ ও ফলাফল দ্রুততম সময়ে লাভের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।
অনেকটা নিজেদের প্রয়োজনের তাগিদেই ও ভবিষ্যৎ ডাক্তার হিসেবে পরিবারের মানুষের ভরসার জায়গায় থেকেই এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে বলে জানান এ প্রজেক্টটির কোঅর্ডিনেটর গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ এর চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজ অন্তর। এছাড়াও জেলার সাধারণ মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজনে উপজেলা ভিত্তিক বিভিন্ন মেডিকেল ও ডেন্টালের শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় সেবার মাধ্যমে রক্তদানে এগিয়ে এসেছে। ইতোমধ্যে ৭২জন স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের তালিকা প্রস্তুত করে মানবতার সেবা করে যাচ্ছেন বলে জানান রক্তদান প্রজেক্টের কোলাবোরেটার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ এর পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী শাওনুজ্জামান শাওণ। এছাড়াও যেসব করোনা রোগীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের জন্যেও কনভালসেন্ট প্লাজমা ডোনার এর তালিকা প্রস্তুতিতে মেডিসিন ক্লাবে ও সন্ধানীর মত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সহযোগিতায় বানানো হয়েছে প্লাজমা ডোনার পুল। কুষ্টিয়ার মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় এর পঞ্চম বর্ষের ছাত্র রাশেদ মাহমুদ শাকিল জানান,

“করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে কুষ্টিয়ার মেডিকেল স্টুডেন্টদের জন্য এ্যাম্বুলেন্স সেবার প্রয়োজন পরবে, সে নিমিত্তে অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সমৃদ্ধ এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস এর কাজও শেষের দিকে, অচিরেই আমরা এ্যম্বুলেন্স ব্যবস্থা করতে পারবো, এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমাদের জেলাব্যাপী বিভিন্ন স্বাস্থ্যপরীক্ষা, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার মত কর্মসূচীর বার্ষিক পরিকল্পনা রয়েছে।”

তথ্যসূত্র: তানজিলা রিমি

Fahmida Hoque Miti:
Related Post