X

কোভিড ১৯: প্রকাশিত হল সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১০ জুন ২০২০, বুধবার 

বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারির সূত্ৰপাত হয়েছে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিশ্বের সকল দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে প্রাণ গিয়েছে অসংখ্য মানুষের। বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয় ৮ মার্চ ২০২০ এ। বাংলাদেশ সরকার দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তারই অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে  “কোভিড -১৯ এর মহামারীর সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংক্রমন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কারিগরি নির্দেশনা নামক ৬২ পৃষ্ঠার নির্দেশিকা দিয়ে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছে”।

যদি এটি কাজে লাগানো হয় তাহলে মহামারীর ধকল কাটিয়ে উঠতে অনেকটাই সক্ষম হওয়া সম্ভব হবে। নির্দেশিকার শুরুতেই সূচিপত্র আকারে নির্দিষ্ট ভাবে প্রতিটা স্থান এর কথা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে এই পুস্তিকাটিতে ‘তিনটি অধ্যায়ে’ বিভিন্ন স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রথম অধ্যায়ে- বাড়ি, অফিস, হোটেল, শপিংমল, ব্যাংক, রেস্টুরেন্ট, সেলুন, দোকান, পার্ক, স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান, বাস, সড়কপথ- নৌপথ – আকাশ পথে যাএী পরিবহন সহ বিদেশ ফিরত লোকজনের স্থানান্তরের ব্যাপারে বিস্তারিত বলা আছে।

দ্বিতীয় অধ্যায়ে- সমাজ ও সংগঠন সমূহ নিয়ে বিস্তৃত বর্ণনা করা হয়েছে।

তৃতীয় অধ্যায়ে- বিভিন্ন জনসংখ্যা, যেমনঃ বয়োজ্যেষ্ঠ, গর্ভবতী মা, শিশু, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মরত কর্মীদের সম্পর্কে বিশদ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ এর নির্দেশনায় এবং ডা. রেজয়ানুল করিম এর সার্বোক্ষণ পর্যবেক্ষণে ২৭ এপ্রিল এই নির্দেশিকা তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত কন্ট্রোল রুমে দিন রাত পরিশ্রমে এই অসামান্য নির্দেশিকাটি সম্পন্ন করার কাজে অংশ নেয় ‘প্ল্যাটফর্ম মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল সোসাইটির কর্মীরা’। পুরো নির্দেশিকাটি প্রস্তুত করতে সময় লেগেছে প্রায় সাত দিন । তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অল্প সময়ের মধ্যে নির্দেশনা তৈরির কাজটি সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে।

এই গাইডলাইনটি কোন উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এ ব্যপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, 

“ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ওপর নজরদারি করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে সম্ভব না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে হবে”।

 

তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে উদ্ধৃত করে বলেন,

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস বহুদিন থাকবে, কত দিন তা কেউ জানে না তবে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুশীলনে এখনই সবাইকে নামতে হবে”।

 

নির্দেশিকার প্রতিটা পাতা অনেক গুরুত্ববহন করছে তাই প্রত্যেককে এই নির্দেশিকাটি নিজেদের সুরক্ষার জন্যই পড়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

নির্দেশনাটি ডাউনলোড করুন-

drive.google.com/file/d/1IsmW3UHW8AMIWAYqPTpjH2UGM-CAQFRz/view?usp=drivesdk

Silvia Mim:
Related Post