X

এমসিকিউ পরীক্ষা দেয়া নিয়ে অল্প কথা

পরীক্ষার জন্য ঝড়ো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় গিয়ে ডুবিয়েছে এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক ভারী। যেকোন এমসিকিউ পরীক্ষায় বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী পারা প্রশ্নগুলো তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুল করে। না পারার মতো প্রশ্ন নিয়ে বেশি সময় নষ্ট করে সোজা প্রশ্ন ভুল করা এমসিকিউ পরীক্ষা খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ। সহজ প্রশ্ন খুব ঠান্ডা মাথায় উত্তর করতে হয়। সহজ প্রশ্ন ভুল না করা একজন ভালো পরীক্ষার্থীর প্রধান কাজ। সব প্রশ্ন কমন পড়া আর সেগুলো ঠান্ডা মাথায় উত্তর করে আসা দুটো আলাদা বিষয়। তাই পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু সহজ টিপস নিচে দেয়া হল :

১. এমসিকিউ পরীক্ষায় শুরুতে একটানা একবারে পারার মতো সহজ প্রশ্নগুলো উত্তর করে ফেলতে হয়।

২. কত নাম্বার প্রশ্ন উত্তর করা হচ্ছে সেটা কলম দিয়ে উত্তরপত্রে উত্তর নাম্বার দেখে উত্তর করা উত্তম। একটা দুটো উত্তর ভুল দাগালে সেটা নিয়ে আফসোস করে পুরো পরীক্ষা নষ্ট করার কোন মানে হয় কি?

৩. কি স্টাডি করেছেন তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরীক্ষায় কতটুকু প্রয়োগ করতে পেরেছেন। যতটা সম্ভব প্রশ্ন যেমনই হোক ঠান্ডা মাথায় সর্বোচ্চ সঠিক উত্তর করার চেষ্টা করা ভালো।

৪. পরীক্ষা হলে বসে কতো পেলে চান্স হবে এসব ভাবতে যাবেন না। আপনি পরীক্ষা দিচ্ছেন, পরীক্ষা বিশ্লেষণ করছেন না এটা মাথায় রাখতে হবে।

৫. শুরুতে প্রশ্ন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটানা পড়বেন আর সাথে সাথে যেসব প্রশ্ন এক চান্সে পারবেন সেগুলো উত্তর করে ফেলবেন। যেগুলো কঠিন বা ঝামেলাপূর্ণ সেগুলো টিক দিয়ে মার্ক করে রাখুন পরে উত্তর করার জন্য, এতে আপনার পারার মতো সহজ প্রশ্ন ভুল হবার বা মিস করার সম্ভাবনা কম।

৬. কঠিন বা সময় নষ্ট করার মতো প্রশ্নগুলো Avoid করা জানতে হয়, ওগুলো আপনার জন্য ফাঁদস্বরূপ। কি ধরণের প্রশ্ন বাদ দিয়ে যেতে হবে এটা জানা জরুরি। একটা কঠিন প্রশ্ন উত্তর না করে আসা আর সহজ প্রশ্ন উত্তর না করে আসার মাঝে অনেক পার্থক্য।

৭. পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে অযথা বই ঘাঁটাঘাঁটি করে মাথা গরম না করে একটা ভালো প্ল্যান করে নেয়া উচিত। মাথা ঠান্ডা রাখতেই হবে, মাথা ঠান্ডা রাখা শিখতেই হবে আপনাকে।

৮. স্পেশাল রেজাল্ট পেতে অবশ্যই নিজেকে স্পেশালভাবে প্রস্তুত করতে হবে, নিজের মানসিকতা এমন রাখুন যেন দুমড়ে-মুচড়ে যাবেন কিন্তু ভাঙবেন না।

Aryan Ahmed
DMC 03-04

Platform:
Related Post