X

এমবিবিএস ২য় প্রফেশনাল পরীক্ষা প্রস্তুতি( নিউ কারিকুলাম)

প্রথমেই বলে নিচ্ছি এইটা সবার ই দুই নাম্বার প্রফ। ফার্স্ট এর টা আল্লাহর রহমতে যারা ইজিলি পার হয়ে আসছি কনফিডেন্ট লেভেল ও মাশাল্লাহ সবার ভাল।দুই টা সাবজেক্ট ই তো। আবার একটা করে পেপার।কোন প্র‍্যাক্টিকাল এর ঝামেলা নাই। হয়ে যাবে।তাদের জন্য ” পচা শামুকেই পা কাটে বেশি”।নতুন এই অভিজ্ঞতা যেন না হয়।

বুঝলাম এই দুইটা সাবজেক্ট তুলনা মূলক ভাবে ইজি।কম্মেড পড়ার ইন্টারন্যাশনাল(!) বিরক্তিটার কথা বাদ দিলে আসলেই ইইজি।সো মাথা ঠান্ডা রাখাটা এই প্রফে অন্য প্রফের তুলনায় একটু বেশি ই দরকার।

প্রথমে আসি রিটেন…

কমিউনিটি মেডিসিন রিটেন এর আগে বেশ ভাল করে ঘুমাই যাবা কারণ অনেক পড়ে যাওয়ার পরেও আনকমন কোয়েশ্চেন বেশি আসার সম্ভাবনা প্রবল। সো টেনশন কম করে নিজের মত করে লিখার ক্যাপাসিটি বাড়াও।আর হ্যা নিজ বোর্ডের প্রশ্ন ব্যাংক টা সলভ করে যাও।এতে প্রিপারেশন টা বেশি ভাল এবং গুছানো হবে

ফরেনসিক এর রিটেন জন্য কোয়েশ্চন ব্যাংক পড়ে যাও ৯০% কমন পাবা।ভাগ্য ভাল হলে শতভাগ ?একটা কোয়েশ্চেন বিভিন্ন ভাবে হতে পারে অথচ আন্সার একটাই এটা খেয়াল রাখতে হবে।অলটারনেটিভ নেইম গুলা জেনে যাও।

আবারো বলতেসি গুছিয়ে প্রিপারেশন নেয়ার জন্য কোয়েশ্চেন ব্যাংক এর উপর আর কিছু নাই।পেইজ উল্টাবা পড়বা, দাগাবা আর দেখবা শেষ হয়ে যাবে।এই ফ্রি টাইম গুলা একটু কাজে লাগাও।

এবার আসি ভাইভা।

এটা মেইন চাবি।ভয় এর জায়গা টা এখানেই। অথচ তোমরা জেনে গেস প্রফের ভাইভা কতটা লিবারেলি নেয়া হয়। সো কোন ভয় নাই।নতুন করে কিছু পড়া লাগবেনা। আগের গুলাই বারবার পড়বা।কিছু প্রশ্ন আছে না পারলেই ফেইল সেগুলা বারবার পড়।

একটা জিনিস খুব কাজে দেয়।যাদের ভাইভা সেকন্ড থার্ড অথবা ফোর্থ দিন তারা আগের দিনের কোয়েশ্চন গুলা শুনবা।এরকম অনেকেই আছে যারা এভাবেই পাশ করে চলে আসছে, মানে ওই প্রশ্ন গুলা ধরসে ওগুলাই পারসে, পাশ উইথ ভাল মার্কস ( তাই বলে তারা আগের দিনের কোয়েশ্চন এর বাইরে কিছু পড়ে আসেনাই এমন না ?)

পাশ করার জন্য আরেকটা মোস্ট ইমপরট্যান্ট জিনিস হল বক্স কোয়েশ্চেন।প্রত্যেক মেডিকেলেই থাকে, একটু এদিক সেদিক হয় প্রশ্ন গুলা নাইলে অলমোস্ট সেইম।এগুলা এখুনি কালেক্ট কর। পারলে রিটেন এর প্রিপারেশন এর সাথে একবার চোখ বুলিয়ে নাও।চাইলে রিটেন শেষে ও নিতে পার।মনে রাখবা “স্টেরয়েড যেমন লাইফ সেভিং ড্রাগ বক্স কোয়েশ্চন ও প্রফ সেভিং ড্রাগ”

ধর, শুনলা যে ফার্স্ট দিন এক্সাটারনাল বক্স কোয়েশচন থেকে কিছু ধরেনাই। তুমিও সুন্দর করে বক্স না দেখে চলে আসছ।আরেকটা কথা, বক্স এর মধ্যে কয়েকটা এটিপিকাল প্রশ্ন থাকবেই।এবং যে স্যার গতদিন বক্স ধরেনাই সেই তিনিই সাম হাউ তোমাকে দিয়েই বক্স এ হাত দিল। আর তুমি বক্স কোয়েশ্চন গুলাই পারনাই তুমি ফেল নিশ্চিত।বক্স না পারলে টিচার রা বেশি মাইন্ড করে।আগের দিনের প্রশ্ন শুনবা ঠিক আছে কিন্তু তাইলে বলে আগের দিন গুলাতে যেটা ধরেনাই সেটা পড়ে যাবানা এই টা কইরনা।

অনেক টিচারের কিছু নিজস্ব কিছু পছন্দ থাকে। চেষ্টা করবা উনার মত আন্সার দেয়ার। ফার্স্ট দিন যাদের ভাইভা তারা সম্পুর্ন না জেনেই এক্সাম দেয়। বাট পরের দিন ও যদি অন্যরা সেইম ভুল করে তখন মাইন্ড করেন স্যার রা।

**কমিউনিটি মেডিসিন***

– কয়েকটা ডেফিনিশন মাস্ট পড়ে যাবা. According to the World Health Organization এটা পুরা বলবা।

– প্রাইমারী হেলথ কেয়ার,হেলথ, এপিডেমায়োলজি এরকম কিছু ডেফিনেশন আছে যেগুলা ধরলে মাস্ট পারতে হয়। এগুলা জাস্ট এক্সাম এর দিনটার জন্য তোতাপাখির মত মুখস্ত করে যাও।টিচার খুশি হয়ে যাবে

– ডে ভিজিট, RFST, Study Tour এগুলা ভাল করে পড়ে যাবা এক্সাম এগুলা দিয়া শুরু হয়।কই কই গেস? কি কি দেখস? কোন জায়গার হেড কে? মেইন অব্জেক্টিভস কি? গোল কি?এগুলা জেনে যাও

– এনাইটিকাল প্রশ্ন বক্স কোয়েসচেন থেকে ধরে অথবা নিজেই বানিয়ে দিতে পারেন সো ডায়গনসিস ভুল করবানা।

– ইপি আই শিডিউল ভাল করে পড়বা

– ডিজিজ গুলার নিউ আপডেট থাকলে জানবা।Rabies এ কয়টা টিকা দিতে হয়? এরকম কয়েকটা ডিজিজ আছেছে সেগুলার টিকা শিডিউল, ডোজ শিডিউল পটে যাও।প্রতিটা ট্রিটমেন্ট গুলার আপডেট টা পড়বা।

– SDG, MDG এগুলা পড়ে যাবা

– বিভিন্ন রেইট গুলা যেমন MMR। এই টাইপ গুলা আপডেট ইনফো জেনে যাও।

সবচাইতে বড় কথা কম্মেডে মাথা ঠান্ডা রাখলেই পাশ।কম্মেডে এই প্রবলেম টাই হয়। অনেক পড়া।মাথা ঠান্ডা থাকেনা।বিরক্ত লাগে। এসব লাগবেই কিন্তু তোমাকে তো পাশ করে আসতে হবে।সো ভাইভা রুমে ঢুক মাথা ঠান্ডা রাখ পাশ করে বের হয়ে আস।আর কম্মেড পড়া লাগবেনা??????

***ফরেনসিক মেডিসিন***

মেন্টাল প্রিপারেশন আগের মতই.

গ্রস ভুল গুলা করবানা।উলটাপালটা পয়জন ধরবানা। যেটা ধরতে বলে ওটাই ধরবা।যদি স্যার চুজ করতে বলে তাইলে আগে থেকে প্রিপেয়ারড হয়ে যাবা কোন পয়জন ধরবা অথবা কোন ইন্সট্রুমেন্ট টা ধরবা। ওইটা ভাল মত পড়ে যাও।

কয়েকটা প্রশ্ন ধরে
যেমন

মেডিকেল কম্পলিট হওয়ার পর সারটিফিকেট কে অর কোথা থেকে দিবে?
টেস্টিমোনিয়াল কে দিবে?
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার কে দিবে?
সুপ্রীম কোর্ট কই?
জেলা দায়রা জজ কোর্ট কই?
সুরহতাল রিপোর্ট এর নাম্বার কত?
গ্রেভিয়াস হার্ট ৮ টা সুন্দর করে পারতে হবে।
রেপ পারভাশন এসব নিয়া প্রশ্ন করলে ইজিলি আন্সার দিবা।
পয়জন এর এক্সামিনেশন রিপোর্ট কোত্থেকে দেয়া হয়? জায়গার নাম কি? কয় তলা?
অনেক সময় অটপ্সি রিপোর্ট থেকে অপিনিওন গুলা ধরে।

এরকম আরো কিছু প্রশ্ন আছে যেগুলা ধরে। জেনে যাও।এই প্রফ অনেক ইজি। ইজিলি পার হয়ে যাও।

নিজ নিজ ধর্ম মত প্রার্থনা কর। আগে করে না থাকলে এখন এটলিস্ট করর। ডেফিনিটলি ইট ওয়ার্কস।

সকালে দু রাকাত এক্সট্রা নফল নামাজ পড়ে যাও।কনফিডেন্স এবং আল্লাহর রহমত দুটাই বাড়বে ইন শা আল্লাহ 🙂

অনেক কিছু লিখে ফেললাম।যতটুকু মনে ছিল তা ই বললাম

একটু কষ্ট কর।অল্প অল্প পড়।মনে রাখবা” একটা বড় জিনিস পাইতে হলে অনেকগুলা ছোট জিনিস স্যাক্রিফাইস করতে হয়”। সো বই দেখলে ঘুম আসে, আরেকটু পরে পড়ি টাইম তো আছে।এসব আস্তে আস্তে বাদ দিয়ে ফেলি। লক্ষ্যে পৌছাই যাবা ইন শা আল্লাহ।

সকলের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইল।

লিখেছেনঃ
এইচআর সাগর,
ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ।

Labonno Rahman:

View Comments (6)

Related Post