X

ঈদেরছুটিতেও “ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম” এর কার্যক্রম অব্যাহত

ঈদ উপলক্ষ্যে শহর ফাকা করে অনেক মানুষ এখন অবস্থান করছেন গ্রামে, এর মাঝে অনেক ভিআইপি ও আছেন। অন্যদিকে ডাক্তারদের অনেকেই ছুটিতে, রোস্টার ডিউটি পালন করছেন অল্প কিছু ডাক্তার। স্বভাবতই তাদের উপর চাপটা বেশি এবং কর্মস্থলে আক্রান্ত হবার ঝুকিও এসময়ে অনেক বেশি। অন্য সময় হয়তো লোকাল সাপোর্ট পেতেন। এসময় সেটার সম্ভাবনাও কম।

এমন পরিস্থিতিতে একটি সাপোর্ট সেন্টার বা কন্ট্রোল রুম থাকার দাবী উঠেছিলো প্ল্যাটফর্মে যেখান থেকে যেকোন বিরূপ পরিস্থিতিতে সহায়তা পাওয়া যাবে। এ বিষয়টি বিবেচনায় এনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিকালীন সময়েও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর “ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম” এর কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

স্বাস্থ্যখাতের সম্পর্কিত যে কোন জরুরী তথ্য (প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী, সড়ক দূর্ঘটনা, সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব, চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা এবং অন্যান্য জরুরী তথ্য) স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে জানানোর পাশাপাশি কন্ট্রোল রুমে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। সম্মানিত চিকিৎসকবৃন্দের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।

কন্ট্রোল রুম হটলাইনঃ
৯৮৫৫৯৩৩
০১৭৫৯-১১৪৪৮৮

ইমেইলঃ controlroomdghs@yahoo.com
dr.samir60@gmail.com
dr.rajib@mis.dghs.gov.bd

কন্ট্রোল রুমটি সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন মহাপরিচালক মহোদয়।

এছাড়া ঈদের ছুটিতে বিশেষভাবে কন্ট্রোল রুম এর দায়িত্বে আছেন:
ডাঃ সমীর কান্তি সরকার, পরিচালক (প্রশাসন)
ডাঃ পবিত্র কুমার সিকদার, উপপরিচালক (প্রশাসন)
ডাঃ রাজীব দে সরকার (কো-অর্ডিনেশন সেল)

শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরই নয়, যারা রোস্টার ডিউটি পালন করছেন তারা স্থানীয় বিএমএ এর সাথে যোগাযোগ করে এ সময়ে কে সাহায্য করতে পারবেন প্রয়োজন হলে তার নাম্বার নিয়ে রাখুন এবং থানায় ডিউটি অফিসার এর সাথে ফোনে একবার কথা বলে রাখতে পারেন বা নিদেনপক্ষে ফোন নাম্বার সংগ্রহে রাখুন। মনে রাখতে হবে নিজের নিরাপত্তা আগে। যেকোন ঝুকিপূর্ণ আচরন এড়িয়ে চলুন।

নিজের নিরাপত্তার বাইরেও স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন জরুরী সমস্যার তথ্য জানাতে (দুর্যোগ যেমন বন্যা পরিস্থিতি, সড়ক দুর্ঘটনা ইত্যাদি) বা জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের সাহায্য নিন।

এ সময় যেসকল চিকিৎসক ছুটিতে বাড়িতে গেছেন তারা আপনার এলাকায় সরকারী হাসপাতালে রোস্টার ডিউটি পালনরত চিকিতসকের খোজ নিন, কুশল বিনিময় করুন। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় খাবারের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি এ খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে।

বেসরকারি চিকিতসক যারা বিভিন্ন অঞ্চলে ঈদ ডিউটিতে যাবেন তারাও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে কিনা সেটা জেনে ডিউটিতে যান। বিরূপ পরিস্থিতিতে আপনারাও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম এবং স্থানীয় বিএমএ এর সাহায্য নিন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ স্যার এবং পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ সমীর কান্তি সরকার স্যার সারা দেশে ঈদের বিশেষ রোস্টারে হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসক, সেবিকা ও চিকিৎসাসেবা প্রদানকারীদের বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

লিখেছেন:
ডা. মারুফুর রহমান অপু
ডি জি এইচ এস

Banaful:
Related Post