তথ্য ঃ ডা. আসিফ, প্ল্যাটফর্ম প্রতিনিধি এবং প্রাক্তন শেবাচিম ছাত্র
সম্প্রতী বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা এক অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরী করেছে। তারা এক অভূতপূর্ব আন্দোলন শুরু করেছে ইভিটিজিংয়ের বিরুদ্ধে।
ক্যাম্পাসে লেডিস হোস্টেলের সামনে প্রায়ই ইভটিজিং এবং ছিনতাইয়ের শিকার হত ছাত্রীরা। নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্যে ছাত্ররা রাতজেগে ক্যাম্পাস পাহারা দিয়েছে এবং ইভটিজারদের ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।
শুধু এটুকু করেই ক্ষান্ত হয় নি, যেই জায়গাটাতে মটরসাইকেলে করে দুষ্কৃতকারীরা আনাগোণা করে এবং সবচেয়ে বেশী অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটে এবং ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় সেই জায়গার রাস্তায় তারা দেয়াল তুলে দিয়েছে।
যদিও অনেকে মনে করছে এতে কিঞ্চিত অসুবিধা তৈরী হয়েছে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কিন্তু বিকল্প রাস্তা থাকায় তেমন কোন অসুবিধা তৈরী হচ্ছে না বলে মনে করে ছাত্রছাত্রীরা। বরং শহর থেকে বিকল্প পথে এম্বুলেন্স আরো সংক্ষিপ্ত পথে হাসপাতালে ঢুকতে পারে বলে মনে করছে তারা।
তবে এর তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী। এমনকি রাতের আঁধারে সেই দেয়াল ভেঙে ফেলে তারা। কিন্তু দমে যায় নি ছাত্ররা। আবার ইট বালু সিমেন্ট কিনে আনে দেয়াল তোলার জন্যে।
কিন্তু অবাক ব্যাপার হল, স্থানীয়দের চাপে কোন রাজমিস্ত্রিই কাজ করতে রাজী হয় নি। তারপরো থেমে থাকে নি উদ্যোগ। নিজেরাই কোদাল কাঠ যোগার করে রাতজেগে শুরু করে দেয়াল তৈরীর কাজ। মেডিকেলের ছাত্ররাই রাজমিস্ত্রির ভূমিকায় নেমে যায় আনারী হাতে । কাজ করতে গিয়ে আস্ত পেড়েকও বিঁধে গেছে একজনের পায়ে। তারপরো তাদের মুখে তৃপ্তির ছোঁয়া ছিল, কেননা তারা চেষ্টা করেছে একটা ভাল কাজের জন্যে।
এটা সত্যিই এক বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রশাসনের চাপে তাদের তৈরী করা ইটবালুর দেয়াল থাকবে কি থাকবে না সেটা ভবিষ্যত বলে দেবে কিন্তু ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে তারা যে দৃষ্টান্তটুকু তৈরী করেছে সেটা কখনো মুছে যাবে না। ইভিটিজিংয়ের মত সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
View Comments (1)
your sbmc. u always regret for this culture at sbmc. Faisal Monoar Hossain