X

ডাঃ এডরিক এস বাকের – একজন সত্যিকারের মানবসেবক।

১৯৭৯ সালে Dr Edric S Baker বাংলাদেশে আসেন খ্রীষ্টান মিশনারীর একজন M.B.B.S ডাক্তার হিসেবে।তিনি খুব দ্রুতই বুঝতে পারেন যে শুধুমাত্র একজন ডাক্তার হিসেবে অত্র অঞ্চলের বিশাল অশিক্ষিত দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব নয়।তাই তিনি গরীব মানুষদের জন্য এই হাসপাতাল চালু করেন।
১৯৮২ সালে টাংগাইল জেলার মধুপুর উপজেলার ৩০ কিঃমিঃ পূর্ব-উত্তরে কালিয়াকুরি গ্রামে আসেন যেখানে 6km ভিতরে পাকা,রাস্তা ,বিদ্যুৎ ও টেলিফোন নেই।কিন্তু মা শিশুর যত্ন,পুষ্টি ও চিকিৎসা সেবায় দৃঢ় প্রতিঞ্জ ছিলেন।১৯৮৬ সালে প্রথম ৪টি গ্রাম নিয়ে শুরু করলেও ১৯৯৬ সালে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।বর্তমানে ১৭টি গ্রামে ১০০০এর উপর শিশু,দুইশরও অধিক মা এবং ১৮০০ এর অধিক ডায়েবেটিকস(ময়মনসিংহ টাংগাইল জামালপুর জেলার অধিবাসী) ।এখানে কর্মরত ৯৩ জন কর্মীর অধিকাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা S.S.C এর নিচে যার ডায়রিয়া,রক্ত আমাশয়,নিউমোনিয়া এবং পুষ্টিহিনতা বিষয়ে চিকিৎসা দেন।২০১৩ সালে ৪২০০০ বর্হিবিভাগ,১৪০০ ভর্তি,২৩০০০স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা নিয়ে যান ,১৮০০ ডায়েবেটিকস এবং ৭৭জন রোগীর ঔষধ খাবার এবং কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন সহ মোট খরচ ১৯০ লক্ষ টাকা।যার পুরোটাই হাসপাতাল নিজে বহন করে।এমনকি তা অল্প পরিমাণ হলেও তা সাদরে গ্রহন করা হবে।
এরা সবাই গরীব।এদের অসুখের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কারন হলো দারিদ্রতা তারপর তারা নিজেদের প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ করতে পারে না।এজন্য দেশের মধ্য থেকে সমর্থন আশা করছি।
Md Ashraful Haque Babon
2nd year,TMMC,Gazipur,
ডাঃ ভাই(Dr Edric S Baker) চান যে এদেশে প্রতি বছর কত হাজার হাজার ছাত্র ডাক্তারি পাস করে তাদের মধ্য কেউ একজন এই হাসপাতালের দায়িত্ব নিক।
প্রিয় মেডিকেলের ভাই বোন বন্ধুরা যদি নিজে চোখে কোন মহৎ কাজ দেখতে চান বা মহানুভবতার শিক্ষা নিতে তাহলে একবার এই হাসপাতালটা ঘুরে আসবেন।

লেখকঃ Md Ashraful Haque Babon‎

প্ল্যাটফর্ম ওয়েব:
Related Post