X

চীনে বুনিয়াভাইরাস সংক্রমণে ৭ জনের মৃত্যু

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৬ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার
একটি রোগবাহী এঁটেল পোকা সংক্রমণজনিত নোভেল বুনিয়াভাইরাসের পুনরায় দেখা মিলল চীনে। এ পর্যন্ত ৬০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৭ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়।

CNA হতে জানা যায়, সম্প্রতি জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং শহরের একজন ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধ চা-চাষকর্মী অসুস্থ হয়ে পরেন, তার ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জ্বর আসে এবং ঘনঘন কাশির লক্ষণ দেখা দেয়। জিয়াংসু এর পাবলিক হাসপাতালে তার এসএফটিএস (সিভিয়ার ফিভার উইথ থ্রমবোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম) শনাক্ত হয়, যা একটি Huaiyangshan Banyangvirus (New Bunyavirus) সংক্রমণজনিত রোগ এবং রক্তের অনুচক্রিয়ায় এর উপস্থিতির মাধ্যমে একে শনাক্ত করা হয়। হাসপাতাল থেকে জানানো হয় বৃদ্ধ চা-চাষকর্মীটি এ বছরের মধ্যে ৩৭ তম  এসএফটিএস আক্রান্ত রোগী।

এদিকে চীনের অন্যান্য প্রদেশের হাসপাতালগুলোতেও চলতি বছরে এ ধরনের আরো বেশ কয়েকটি রোগীর কেস পাওয়া যায়, এদের মধ্যে চীনের আনহুই প্রদেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। এপ্রিল মাস হতে এ পর্যন্ত ২৩ জন সংক্রমিত এবং ৫ জনের মৃত্যুর সংবাদ জানা যায়।

গত বছরের নভেম্বরে তাইওয়ান তাদের প্রথম এসএফটিএস রোগীর শনাক্তকরণ নিশ্চিত করে। প্রথম শনাক্তকারী একজন ৭০ বছর বয়সী পুরুষ যার মাঝেও জ্বর এবং তীব্র বমির লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। তার কোন ভ্রমণের সূত্র পাওয়া যায়নি, কিন্তু পর্বত হাইকিং এর সূত্র জানা গিয়েছিল। ২০১০ সালে চীনে প্রথম বুনিয়া ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। তাইওয়ান সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) হতে জানা যায়, নোভেল বুনিয়া ভাইরাস মানুষ হতে মানুষে ছড়ায় এবং এর মৃত্যুর হার দাঁড়ায় ১০%। এসএফটিএস এর সুপ্তকাল ৭ থেকে ১৪ দিন এবং লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে-

  • জ্বর,
  • বমি,
  • পেট ব্যথা,
  • ক্ষুধামন্দা ও
  • অবসাদ৷

তাইওয়ান বাসীদের সিডিসি কর্তৃক উপদেশ দেওয়া হয়, লম্বা ঘাসে, বৃক্ষাচ্ছাদিত এলাকা ও যেসকল এলাকায় এঁটেল পোকার আনাগোনা বেশি, সেসকল স্থানে চলাচলের সময় ফুলপ্যান্ট এবং ফুলহাতা শার্ট যেন ব্যবহার করে। সেই সাথে লক্ষ্য করা যায়, সম্প্রতি এসএফটিএস এর কোন এন্টিভাইরাল ড্রাগ আবিষ্কৃত হয়নি। তবে যথাসময়ে কার্যকরী চিকিৎসা গ্রহণ করলে মৃত্যু হার হ্রাস করা সম্ভব।

Tasnim Sanjana Kabir Khan:
Related Post