X
    Categories: COVID-19

কোভিড-১৯: গত ২৪ ঘণ্টায় শেরপুরে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরো ৪ জন শনাক্ত

প্ল্যাটফর্ম নিউজ,

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

দিনদিন দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নতুন নতুন জেলায় মিলছে করোনা রোগীর সন্ধান।

তবে সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে চিকিৎসকসহ সকল স্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এভাবে ক্রমাগত তাঁরা আক্রান্ত হতে থাকলে দেশের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়বে!

গত ২৪ ঘণ্টায় শেরপুরে নতুন করে আরো ৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও অপর ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী! এ নিয়ে এখন পর্যন্ত জেলাটিতে মোট করোনা শনাক্ত হলো ২৮ জনের।

নতুন শনাক্ত হওয়া ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীই করোনার নমুনা সংগ্রহ দলে কাজ করতেন। তাঁদের একজন জেলা সদর হাসপাতালের এবং অপর দুইজন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান। আর নতুন শনাক্ত হওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মহোদয় জেলা সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান।

শেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বলেন,

“করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ দলের তিন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা শনাক্ত হওয়ায় নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রমে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিকল্প ব্যবস্থায় দলে নতুন স্বাস্থ্যকর্মী যুক্ত করার চেষ্টা চলছে।”

শেরপুর জেলার সিভিল সার্জন আনোয়ারুর রউফ বলেন,

“করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীসহ বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। আর স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালে আসা রোগী এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতালের পরীক্ষাগারে কাজ করতেন। রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে তাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ ছিল না। নিয়মিত ‘চেকআপের’ অংশ হিসেবে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।”

সিভিল সার্জন মহোদয় আরো বলেন,

“আক্রান্ত চিকিৎসক ও দুই স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম আইসোলেশনে এবং অপর এক স্বাস্থ্যকর্মীকে জেলা সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সংস্পর্শে আসা হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২২ জনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।”

সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গত ২৬ এপ্রিল রাতে জেলা সদর হাসপাতালের কার্যক্রম সীমিত করে শুধুমাত্র জরুরি বিভাগের পরিসেবা চালু রাখা হয়। তবে গতকাল (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগের কার্যক্রম চালু হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক/ অংকন বনিক জয়

অংকন বনিক:
Related Post